পাকিস্তানিরা নেই তারপরও কেন ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হলো : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

প্রকাশিত: ৮:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৪

পাকিস্তানিরা নেই তারপরও কেন ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হলো : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার

সালেহ আহমদ (স’লিপক) : সিলেট বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, অনৈতিকভারে অধিকার হরণের প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীবৃন্দ। সেকারণে এদিনে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের পরিকল্পিত নৃশংস হত্যাযজ্ঞের শিকার হন তাঁরা। আজ পাকিস্তানিরা নেই তারপরও কেন বৈষম্য দূর করতে ছাত্র-জনতাকে প্রাণ দিতে হলো?

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সিলেটে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ২০২৪ পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার খান মো. রেজা-উন-নবী এসব কথা বলেন।

সিলেট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত ডিআইজি নাছির উদ্দিন আহমেদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. শাহরিয়ার আলম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার খোশনূর রুবাইয়াৎ।

স্বাধীনতা বিরোধীরা পরাজয় নিশ্চিত জেনে বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের নির্মমভাবে হত্যা করে উল্লেখ করে খান মো. রেজা-উন-নবী বলেন, এ ভূ-খন্ডে আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার ফিরিয়ে আনার অনেক ইতিহাস আছে। মানুষের অধিকার কখনোই হরণ করা যায় না। কোন সরকার যখন অনৈতিকভাবে হরণ করে তখনই মানুষ আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পরে। বৈষম্যহীন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থান তার আদর্শ প্রমাণ।

উল্লেখ্য, যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালনের লক্ষ্যে সিলেটে সরকারিভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনও বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। শনিবার ভোর থেকে নগরীর চৌহাট্টান্থ শহিদ বুদ্ধিজীবীদের কবরে মুক্তিযোদ্ধা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক-সাষ্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট