সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে আমদানিকারকদের মতবিনিময়

প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৪

সিলেট চেম্বার নেতৃবৃন্দের সাথে আমদানিকারকদের মতবিনিময়

সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দরে আমদানিতে বিরাজমান সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে দুইটি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা রোববার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে চেম্বার কার্যালয়ে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।

সভায় আমদানিকারকরা বলেন, সিলেটের তামাবিল ও শেওলা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যে পাথর আমদানি করা হয়, তা সরাসরি মাইন থেকে গাড়ি লোড হয়ে চলে আসে বিধায় উক্ত পাথরের সাথে মাটি ও বালি মিশ্রিত থাকে। ইতোপূর্বে তামাবিল ও শেওলায় পাথর শুল্কায়নের পূর্বে বন্দর কর্তৃপক্ষ মাটি ও বালির ওজন বাদ দিয়ে মালের ওজন নির্ণয় করতেন এবং সে অনুযায়ী শুল্কায়ন করা হতো। যার ফলে আমদানিকারকগণ ক্ষতিগ্রস্থ হতেন না। কিন্তু বর্তমানে স্থলবন্দরের নতুন কর্মকর্তারা মাটি ও বালির ওজন ছাড় দিতে চাচ্ছেন না, যার ফলে বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে আমদানিকারকদের কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হওয়ায় তামাবিল ও শেওলায় মালবাহী গাড়ি আনলোড করতে দিচ্ছেন না স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দুইটি বর্ডারে কয়েকশত মালবাহী গাড়ি দিনের পর দিন আটকে আছে। এতে গাড়িভাড়া বাবদ আমদানিকারকগণকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি গুণতে হচ্ছে বলে আমদানিকারকরা জানান। তারা এ সমস্যা সমাধান করে আমদানি বাণিজ্য পুনরায় স্বাভাবিক করতে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সহযোগিতা কামনা করেন।

এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফয়েজ হাসান ফেরদৌস বলেন, ব্যবসায়ীদের যেকোন সমস্যায় সহযোগিতার হাত প্রসারিত করতে সিলেট চেম্বার সদা প্রস্তুত। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা ঠিকমত ব্যবসা করতে না পারলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। একইভাবে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলে পণ্য সরবরাহ যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হবে, তেমনি সরকার প্রতিদিন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি উদ্ভুত সমস্যাটি নিরসন করে আমদানি বাণিজ্যকে স্বাভাবিক করতে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনা এবং প্রয়োজনে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার সাথে আলোচনার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি যেকোন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের একতাবদ্ধ থাকার আহবান জানান।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সিলেট চেম্বারের সাবেক সহ সভাপতি মোঃ আতিক হোসেন, পরিচালক ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, মোঃ মাহবুবুল হাফিজ চৌধুরী (মুশফিক), বিশিষ্ট আমদানিকারক হেনরি লামিন, ইলিয়াস উদ্দিন লিপু, আব্দুল করিম রাসেল, জয়দেব চক্রবর্তী, জাকারিয়া ইমতিয়াজ জাকির, মোঃ সুহেল আহমেদ, দেলোয়ার লামিন, মোঃ আব্দুল আলীম, মোঃ শমসের আলী, মোঃ মনিরুল হক, বেলাল হোসেন, জুনেদ আহমদ জয়নাল, সিলেট চেম্বারের সচিব মোঃ গোলাম আক্তার ফারুক প্রমুখ।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট