সিলেটে শীর্ষ মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল ১৪ সহযোগী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৪

সিলেটে শীর্ষ মাদক কারবারি বুনিয়া সোহেল ১৪ সহযোগী গ্রেপ্তার

জেনেভা ক্যাম্পের শীর্ষ মাদক কারবারি ও সশস্ত্র গ্রুপের সন্ত্রাসী বুনিয়া সোহেল ও তার ১৪ জন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সিলেট, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৯ ও র‌্যাব-২।

র‌্যাব জানায়, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের মাদক স¤্রাট সোহেল প্রকাশিত বুনিয়া সোহেল দীর্ঘদিন থেকে ক্যাম্পে গ্যাং কালচার চালু করেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ ‘চুয়া সেলিম’ ও ‘বুনিয়া সোহেল’ দুই গ্রুপেরর মধ্যে মাদক ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ চলছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানা থেকে প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করে ক্যাম্পে নিয়ে যায় তারা।

সম্প্রতি কয়েকটি সংঘাতে জড়িয়েছে তারা। ব্যবহার করেছে এসব অস্ত্র, মহড়া দিতে দেখা যায় অস্ত্র নিয়ে। এছাড়াও লুটকৃত অস্ত্র নিয়ে গুলি ছুঁড়তে দেখা গেছে তাদের। গোলাগুলিতে দুই মাসে নিহত হয়েছেন পাঁচ জন। আহত হয়েছেন একশ’র বেশি মানুষ। মাদক স¤্রাট সোহেল প্রকাশিত বুনিয়া সোহেলের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, খুন, ধর্ষণসহ অন্যান্য অপরাধের দায়ে ১৮টি মামলা রয়েছে।

এসব অভিযোগের উপর ভিত্তি করে অভিযানে নামে র‌্যাব-৯ ও র‌্যাব-২।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট নগরীর দাড়িয়াপাড়াসহ নগরের বিভিন্ন এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে সিলেটে আত্মগোপনে থাকা মাদক স¤্রাট সোহেল প্রকাশিত বুনিয়া সোহেল কে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় আরো ৫ জন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে তারা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ডিএমপির মোহাম্মদপুর থানা এলাকার জেনেভা ক্যাম্প এর আব্দুস সালামের ছেলে সোহেল প্রকাশিত বুনিয়া সোহেল (৩০), একই ক্যাম্পের সাব্বির হোসেনের ছেলে আমির হাসান হিরা (৩৬), সেলিম হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৭), মৃত মুসলিম এর ছেলে জামাল হোসেন (২৯) সোহেল রানার স্ত্রী মোছাঃ শাহিনুর (৩২)।

এদিকে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে র‌্যাব-৯ এর শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এর দল হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার সাইহাম ফিউচার কমপ্লেক্স এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বুনিয়া সোহেলের আরও ৭ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করে।

তারা হলেন, জেনেভা ক্যাম্প এর মৃত ইলিয়াস এর মেয়ে নুরী বেগম (৩০) ও ছেলে মিঠুন (২৪), মৃত লোকমান এর ছেলে সাহিল (৩৮) নাদিম এর ছেলে নাঈম (২৪), মো. নাসিমের ছেলে মো. আজিম (৩৭), সোলায়মানের মেয়ে বানু বেগম (৫০) ও মৃত আকবর আলীর ছেলে সাবিক হাসান (২০)।

পরে এ ঘটনার সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে র‌্যাব-৯ এর একটি টিম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, জেনেভা ক্যাম্পের নাসিমের ছেলে আমিন (২৮), মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ইকবাল (৩৮), মো. পলু কসাই এর ছেলে আসিফ মিয়া (৩৭)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া অফিসার) মো. মশিহুর রহমান সোহেল জানান, গ্রেপ্তারকৃত আসামীদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের জন্য র‌্যাব-২ এর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট