জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে জনপদ

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৪

জগন্নাথপুরে কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে জনপদ

বছর ধরে আমাদের রানীনগর গ্রামটি কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের শিকার, অনেক পরিবারের বাড়িঘর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে, আমাদের গ্রামের ১৫টি বাড়ি যেকোনো সময় ভাঙ্গনের শিকার হবে। বাগময়না গ্রামের আল আমিন ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামে নদীর ভাঙ্গন বন্ধ করার জন্য একবছর ধরে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে, এখনো কাজ শুরু হয়নি।

পাকা সড়ক নদী ভাঙ্গনের পর থেকে বিলিশ্রী গ্রামের গুলজার মিয়ার বাড়ির পুকুর পাড় দিয়ে ৭টি গ্রামের জনসাধারণ যাতায়াত করেন। বর্তমানে পুকুর পাড়টিও নদী ভাঙ্গনের সম্মুখীন হয়েছে। এতে যেকোন সময় রৌয়াইল রানীগঞ্জ খেয়াঘাট সড়ক পথে যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

বালিশ্রী গ্রামের আশরাফুল হক বলেন, আমাদের গ্রামের চলাচলের একমাত্র সড়কটি কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে, বর্তমানে গুলজার মিয়ার পুকুর পাড় দিয়ে আমাদের প্রায় ৭টি গ্রামের মানুষ যানবাহন সহ যাতায়াত করছেন, বর্তমানে পুকুরপাড় নদী ভেঙ্গে নিয়ে যাচ্ছে, হয়তো ১০দিন এই স্থান দিয়ে আমরা যাতায়াত করতে পারবো এরচেয়ে বেশিদিন টিকবে না।

জগন্নাথপুর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (অঃদাঃ) পওর ইরফানুল ইসলাম বলেন, ফেছীবাজার, ভাঙ্গাবাড়ি ও বাগময়না কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ব্লক তৈরি হচ্ছে, বন্যা ও নদীর পানি বেশি থাকায় কাজ শুরু করা যাচ্ছেনা, চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী জানুয়ারি মাস থেকে তীর সংরক্ষণ কাজ শুরু হবে।

নদী ভাঙ্গন ও তীর সংরক্ষণ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল বশিরুল ইসলাম বলেন, ফেছীবাজার, ভাঙ্গা বাড়ি সহ ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় ব্লক তৈরি হচ্ছে, নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে, এজন্য নতুন এলাকায়ও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, নদী খনন করা প্রয়োজন, এজন্য বর্তমান সরকারের সময়ে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে , জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করে প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাস্তাঘাট বসতবাড়ি রক্ষায় কুশিয়ারা নদীর ভাঙ্গন রোধে সরকারকে জরুরি প্রদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য এলাকার ভুক্তভোগী জনসাধারণ দাবী জানিয়েছেন।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট