২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২০, ২০২৪
সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে (এপিপি) নিয়োগ পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে জামিনুল ইসলাম জামি। তিনি সিলেট মহানগরীর ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম বুলুর ছেলে।
জামিনুল ইসলাম জামি গত ১৬ অক্টোবর সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এপিপি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে এপিপি নিয়োগ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ। এরই মধ্যে সিলেটে নিয়োগকৃত দুই পিপিকে আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়নকারী দাবি করে তাদের কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১৬ অক্টোবর সিলেট জেলা ও মহানগর দায়রা জজ আদালতের ১০৩ জন সরকারি কৌঁসুলির তালিকা প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। প্রকাশিত তালিকায় আওয়ামী লীগের একাধিক সুবিধাভোগী আইনজীবী রয়েছেন বলে প্রতিবাদ করে আসছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নেতৃবৃন্দ।
অভিযোগ রয়েছে, জামিনুল ইসলাম জামি নিজেকে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে দাবি করে আসছেন। কিন্তু বিগত দিনে কোনো আন্দোলন সংগ্রামে তাকে দেখা যায়নি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনেও তিনি ছিলেন নীরব ভূমিকায়। এরপরও জামিনুল ইসলামকে কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে এপিপি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে সেটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে জামিনুল ইসলামের বাবা সিলেট ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি নজরুল ইসলাম বুলু তার ফেসবুকে এখনও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছবি দিয়ে রেখেছেন। তাতে দেখা গেছে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ট ছবি দিয়ে রেখেছেন। এ ছাড়া সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর প্রচারপত্র বিলি ও ভোট কেন্দ্রের অভ্যন্তরের ছবিও তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে রেখেছেন।
বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সিলেট শাখা আইন উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা এ স্মারকলিপি দেয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন সিলেট শাখার সভাপতি মো. আলীম উদ্দিন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, প্রকাশিত আইন কর্মকর্তাদের তালিকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় প্রবাসে অবস্থানকারী এমনকি যাঁরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে পরিচিত তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় জিপি ও পিপি তালিকা বাতিল করে আইন পেশায় সৎ, দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিদের নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D