গাবতলীতে দফায় দফায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, পুলিশ ব্যারাকে আগুন

প্রকাশিত: ১২:১৮ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১, ২০১৭

গাবতলীতে দফায় দফায় শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ, পুলিশ ব্যারাকে আগুন

রাজধানীর গাবতলীতে পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। তবে বাধা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা পুলিশ বক্স ও ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার মাহমুদুর রহমান জানিয়েছেন।

মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আহমেদ জানান, সকাল থেকেই ঢাকার ভেতরে বিভিন্ন গাড়ি ঢুকতে বাধা দিচ্ছিল শ্রমিকরা; পুলিশ তা প্রতিহত করতে গেলে রাতে পুলিশ বক্স ও ব্যারাকে আগুন ধরিয়ে দেয় শ্রমিকরা।

এদিকে খুলনা রেলগেট এবং মানিকতলায় একটি বাস ও ১০টি ইজিবাইক ভাঙচুর করেছে শ্রমিকরা।

পূর্বঘোষণা ছাড়াই মঙ্গলবার ঢাকাসহ সারা দেশে ধর্মঘট শুরু করেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এমন ভোগান্তির মাঝেই পরিবহন শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

বিভিন্ন এলাকায় পরিবহন শ্রমিকরা রাস্তায় নেমেছেন পিকেটিংয়ে। বাধা দিচ্ছেন যান চলাচলে, যানবাহন থেকে নামিয়ে দিচ্ছেন যাত্রীদের। ফলে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। যদিও পিকেটিংয়ের কথা অস্বীকার করেছেন সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।

এদিকে, পিকেটিংয়ের কবলে পড়া যাত্রীদের অনেকেই লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। অনেক জায়গায় পরিবহন শ্রমিকেরা যাত্রীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণও করেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জে তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় জামির হোসেন নামের এক বাস চালকের যাবজ্জীবন সাজা হয়। এ ঘটনায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় দুই দিন পরিবহন ধর্মঘট চলার পর সোমবার প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়া হলেও পরে শ্রমিক নেতারা কর্মসূচি বহাল রাখার কথা বলেন।

এরই মধ্যে ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপায় এক নারীকে হত্যার দায়ে সোমবার ট্রাক চালক মীর হোসেনের ফাঁসির রায় হয়। এ নিয়ে সোমবার রাতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ঘোষণা দেয়।

এদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে গাবতলীতে এক সমাবেশে বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাক চালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের দাবিদাওয়া সম্পূর্ণ মেনে নিলে শ্রমিকরা গাড়ি চালাবেন। দাবি না মানলে কর্মসূচি চলবে। আইন বাতিল ও দণ্ডিত চালকদের মুক্তি না দিলে গাড়ি চলবে না।