বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি

প্রকাশিত: ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২৪

বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি

Manual4 Ad Code

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। গত ৮ জুলাই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’ বলে একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন।হার্টে পেসমেকার বসিয়ে বাসায় নেয়ার ছয় দিনের মাথায় তাকে গত চার দিন আগে আবারো জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের আইসিইউ সুবিধাসম্বলিত কেবিনে তার চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে, গত চার দিনে বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। তার হার্ট, লিভারসহ শারীরিক অন্যান্য প্যারামিটার বেশ অস্বাভাবিক। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা নানাভাবে তার চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা: রফিকুল ইসলাম জানান, বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে। প্রতিবারই তাকে হাসপাতালে জরুরি ভিত্তিতে নিয়ে আসতে হচ্ছে, এটি খুবই উদ্বেগজনক। এবার হাসপাতালে ভর্তি করার পর তার অবস্থা আরো আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে।

Manual5 Ad Code

মেডিক্যাল বোর্ডের একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, দেশে বেগম জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না। যে কারণে তিনি বারবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এর আগে বিদেশী চিকিৎসকদের অধীনে ম্যাডামের লিভারসিরোসিস সমস্যা সমাধানে একটি প্রসিডিওর করার পর তিনি বেশকিছু দিন সুস্থ ছিলেন। কিন্তু এখন ঘন ঘন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তার অবস্থা ভালো নয়। শারীরিক প্রতিটি প্যারামিটারই অবনতির দিকে। আরেকজন চিকিৎসক গতকাল রাতে জানান, বেগম জিয়ার লিভারের জটিলতা বেড়েছে।
গত ৮ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করার পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে সরকার তাকে আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এভারকেয়ার হাসপাতালের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে একটি মেডিক্যাল বোর্ড তার চিকিৎসা দিচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, আর্থ্ররাইটিস, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন।গত ২২ জুন গভীর রাতে গুলশানের বাসায় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে অ্যাম্বুলেন্সে করে বেগম খালেদা জিয়াকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়। পর দিনই তার হৃদপিণ্ডে পেসমেকার বসানো হয়। দুইদিন সিসিইউতে থাকার পর মেডিক্যাল বোর্ড সিসিইউর সব সুবিধা নিয়ে কেবিনে তাকে কয়েকদিন রাখেন। এরপর গত ২ জুলাই এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
এর আগে গতবছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তার লিভারে অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল।বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা জন্য বিদেশে পাঠাতে মেডিক্যাল বোর্ড বারবার সুপারিশ করলেও সরকার সেই সুযোগ দিচ্ছে না। সরকারের তরফ থেকে এক্ষেত্রে আইনি বাধ্যবাধকতার কথা বলা হচ্ছে।

Manual6 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code