বিবিসির প্রতিবেদন : ‘এমপিকে মন্ত্রীর চড়’ দল ও সরকারে অস্বস্তি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ!

প্রকাশিত: ২:১২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৭

বিবিসির প্রতিবেদন : ‘এমপিকে মন্ত্রীর চড়’ দল ও সরকারে অস্বস্তি, প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ!

বাংলাদেশে মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একজন এমপিকে চড়-ঘুষি মেরেছেন- এরকম একটি খবর শনিবার থেকে সংবাদ মাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে পড়ার পর ঐ এমপি ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

টাঙ্গাইল সদর আসনের এমপি সানোয়ার হোসেন বিবিসিকে বলেছেন, রেগে গিয়ে মন্ত্রী তাকে গালমন্দ করেছেন, কিন্তু গায়ে হাত দেননি। এ ব্যাপারে  ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।

তবে কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী – যারা টাঙ্গাইল আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত – তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, অনেকের সামনেই মন্ত্রী এমপি সাহেবকে তিনটি চড়  ও ঘুষি মেরেছেন।

সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এই ঘটনায় সরকারের ভেতর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে।

তিনি বিবিসি বাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী জার্মানি থেকে ফিরলে তাকে এই ঘটনা জানানো হবে।

ঘটনা সম্পর্কে জানা যাচ্ছে, শনিবার রাতে রাজশাহীতে কর্মিসভা শেষ করে ওবায়দুল কাদের ঢাকায় ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে যমুনা রিসোর্টে যাত্রাবিরতি করেন। টাঙ্গাইলের স্থানীয় কয়েকজন নেতা যারা সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তারা বলছিলেন, ওবায়দুল কাদেরকে সেখানে আপ্যায়নের আমন্ত্রণ করেছিলেন টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান।

কিন্তু হাসান ইমাম খান নিজেই ওই সময়ে রিসোর্টে উপস্থিত হতে পারেননি। ওবায়দুল কাদের রিসোর্টের পদ্মা রেস্ট হাউসে ঢুকে সংসদ সদস্য হাসান ইমাম উপস্থিত নেই জানতে পেরে বিরক্তি প্রকাশ করেন।

এ সময় টাঙ্গাইল-৫ আসনের সাংসদ সানোয়ার হোসেন – হাসান ইমামের পক্ষ নিয়ে ওবায়দুল কাদেরকে কিছু বলতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, সেখানে উপস্থিত স্থানীয় নেতারা বলছেন সানোয়ার হোসেনকে তিনটি চড় ও ঘুষি মারেন।

পরে মন্ত্রী রেস্ট হাউস থেকে বের হয়ে যান, এবং রিসোর্টের গেটে দলীয় নেতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে, ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

তবে এমপি সানোয়ার হোসেন বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলার সময় এই ধরনের কোনো ঘটনা সেখানে হয়নি বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রবিবার সকালে ওবায়দুল কাদেরের সাথে তার ফোনে কথা হয়েছে, তারা মনে করছেন দলের ও মন্ত্রীর ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য তাদের প্রতিপক্ষের তরফ থেকে এধরনের খবর বের করা হয়েছে।

মন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার জন্য দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সরকারের একজন উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তি বলছিলেন বিষয়টি নিয়ে দল ও সরকারের মধ্যে অস্বস্তি রয়েছে।

কারণ ওবায়দুল কাদের একজন মন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। দলের অতি গুরুত্বপূর্ণ এই পদে থাকার সময় এই ধরণের অভিযোগ তাদের জন্য অস্বস্তিকর।

বিবিসি অবলম্বনে

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট