সিলেটে পার্কে ১৬ ছেলে-মেয়ের অসামাজিক কাজ, ধরে বিয়ের উদ্যোগ

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫

সিলেটে পার্কে ১৬ ছেলে-মেয়ের অসামাজিক কাজ, ধরে বিয়ের উদ্যোগ

সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানাধীন রিজেন্ট পার্ক ও রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপের দায়ে ১৬ জন ছেলে-মেয়েকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাদের সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ঘটনাস্থলে মোগলাবাজার থানাপুলিশ রয়েছে বলে জানা গেছে।

আটক ছেলে-মেয়েরা সিলেটের বিশ্বনাথ ও ফেঞ্চুগঞ্জ, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এবং মৌলভীবাজারের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন তারা।

পার্ক মানে বিনোদন বা খোলা আকাশে বাতাস গায়ে লাগানো। কিন্তু এই রিজেন্ট পার্ক কর্তৃপক্ষ রেখেছে শয়ন কক্ষ। ভাড়ায় রুম বুক করে নির্জনে ফুর্তি করার ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুধুমাত্র ছেলের নাম দিয়ে রুম এন্ট্রি করা হয়। তোলা হয় না ছবি কিংবা রাখা হয় না এনআইডির কপি।

স্থানীয়রা জানান- দক্ষিণ সুরমার সিলাম এলাকার রিজেন্ট পার্কে শুরু থেকেই অসামাজিক কার্যকলাপ সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এটি নামে পার্ক হলেও রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্রামের কক্ষ। স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও প্রেমিক-প্রেমিকারা এসব কক্ষ ভাড়া নিয়ে নিরাপদে অসামাজিক কার্যকলাপ করেন। এ সুযোগে পার্ক কর্তৃপক্ষ তাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন।

তারা আরও জানান, পার্কটি গত ৫ আগস্টের পর থেকে লাগামছাড়া হয়ে গেছে। এর আগেও এরকম কর্মকান্ড হতো আমরা একবার রাতে ভাঙচুর করেছি। পরে এলাকার সালিস ব্যক্তিদের মাধ্যমে মিমাংসা হয়। ১০ বছরের সময়ের মধ্যে প্রথম ২ বছর ভালোই চলে। এখন যা অবস্থা এলাকার সম্মান নিয়ে প্রশ্ন।

এরকমই রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিন-দুপুরে অন্তত ১৬ ছেলে-মেয়ে কয়েকটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কাজ চালাতে থাকেন। খবর পেয়ে বেলা ২টার দিকে স্থানীয়রা এসে পার্কে হানা দিয়ে তাদের কক্ষের ভেতরেই আটক করেন।

আটক ছেলে-মেয়েদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে বলে তারা জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মোগলাবাজার থানাপুলিশ। তবে স্থানীয় মুরুব্বিরা এসব ছেলে-মেয়েদের অভিভাবকদের খবর দিয়ে বিয়ের বন্দোবস্ত করছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন- খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে ১৬ জন ছেয়ে-মেয়ে রয়েছেন। তাদের বিভিন্ন কক্ষে অসামাজিক কাজরত অবস্থায় পেয়েছেন স্থানীয়রা। পরে এলাকার মুরুব্বিরা তাদের অভিভাবকদের খবর দিয়েছেন, তারা আসলে বিয়ের ব্যবস্থা করবেন স্থানীয় মুরুব্বিরা।

এরপরেও আমাদের কোনো আইনি ব্যব্স্থা নেওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা নেবো।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট