বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আদেশ কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ৪:৫৪ অপরাহ্ণ, মে ২৭, ২০১৮

বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আদেশ কেন অবৈধ নয়, হাইকোর্টের রুল

Manual2 Ad Code

২০১৭ সালে ২৩ নভেম্বর বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল। রবিবার (২৭ মে) দুপুরে হাইকোর্ট এ রুল জারি করে।

Manual4 Ad Code

বিস্তারিত আসছে…

Manual6 Ad Code

আরো পড়ুন…
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে কয়েক গুণ ব্যয় বাড়বে গ্রাহকের
ঢাকা: বিদ্যুতের আরেক দফা দাম বাড়ানোর ফলে শিল্পের সব ধরনের পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে সরাসরি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে রপ্তানি আয়ের ওপর। দুর্ভোগ বাড়বে সাধারণ ভোক্তাদের।

সরকার গুণগত মানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারায়। লোডশেডিংয়ের সময় তেলভিত্তিক জেনারেটরের মাধ্যমে (ক্যাপটিভ পাওয়ার) বিদ্যুৎ উৎপাদন করে শিল্পকারখানা চালু রাখতে হচ্ছে। এতে শিল্পের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে রপ্তানি আয়ে। আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের মূল্যের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে রপ্তানি কমে গত ১৫ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে এসেছে।

বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রতিক্রিয়া এভাবেই প্রকাশ করেছেন রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি) প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম মুর্শেদী।বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ফলে জনগণের ঘাড়ে কয়েক গুণ ব্যয় বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।

তিনি পরিসংখ্যান দিয়ে জানান, বিদ্যুতের দাম গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বা ইউনিটে ৩৫ পয়সা বাড়ানোর ফলে সরকার জনগণের পকেট থেকে সরাসরি নেবে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। কিন্তু সরকার এ দুই হাজার কোটি টাকা আয় করতে গিয়ে জনগণের ঘাড়ে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে।

তিনি এর ব্যাখ্যা করে জানান, ৩৫ পয়সা ইউনিটে দাম বাড়ানোর ফলে সব ধরনের পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাবে। এতে বাড়তি মূল্যে গ্রাহকদের পণ্য কিনতে হবে। এভাবেই ব্যয় বেড়ে যাবে ভোক্তাদের। যাদের সামর্থ্য আছে তারা হয়তো বাড়তি দামে কিনতে পারবেন। কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তাদের নির্ধারিত আয় দিয়ে চাহিদার চেয়ে কম পণ্য কিনতে হবে। কম ভোগ করে বাড়তি ব্যয় সমন্বয় করবেন সাধারণ ভোক্তারা।

Manual6 Ad Code

তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়েও সরকার বিদ্যুৎ খাতে ব্যয় কমাতে পারত। তিনি মনে করেন, বিদ্যুৎ খাতের অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমাতে পারলে গ্রাহকদের ওপর বাড়তি ব্যয়ের বোঝা চাপিয়ে দিতে হতো না।

বাংলাদেশ অটোরিরোলিং ও স্টিল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম মাসুদ জানিয়েছেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করেছে। ব্যতিক্রম শুধু বাংলাদেশ। আমাদের দেশে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করেনি সরকার। প্রায় প্রতিটি দেশই জ্বালানি তেলের পাশাপাশি ডলারের মূল্য সমন্বয় করেছে। কিন্তু আমাদের দেশে ডলারের মূল্য সমন্বয় করা হয়নি। এতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী পণ্যের মূল্যের প্রতিযোগিতায় হেরে যাচ্ছে। বাংলাদেশী পণ্যের জায়গা দখল করছে অন্য দেশের পণ্য। এখন আবার হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ৬৮ টাকার ডলার এখন প্রায় ৮৪ টাকায় উঠে গেছে।

এমনি পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে সরকার। শিল্পের প্রতিটি খাতের সাথে বিদ্যুৎ জড়িত। এখন বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি পণ্যের দামই বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও দেশের জনগণের রক্ত দিয়ে কিছু কর্মকর্তার বোনাস দেয়ার জন্য সরকারের বিদ্যুতের দাম বাড়ানো মোটেও যুক্তিসঙ্গত হয়নি। শিল্পায়নবিরোধী এ সিদ্ধান্ত জনগণকে চরম দুর্ভোগের মধ্যে ফেলবে।

Manual6 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code