বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত: ১০:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০১৮

বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

Manual6 Ad Code

বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে হঠাৎ করে বৈঠকে বসেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা।

বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠক শেষ হয় বিকেল ৫টায়। বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, খালেদা জিয়ার সাজা ও জামিনের বিষয়ে কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি নেতারা। এ ছাড়াও আগামী নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয়ও তাদের কাছে তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহউদ্দিন আহমেদ, ইসমাইল হোসেন জবিউল্লাহ, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, রুমিন ফারহানা প্রমুখ।

বৈঠকে বিদেশি কূটনীতিকদের মধ্যে ছিলেন সুইজারল্যান্ড, স্পেন, সৌদি আরব ও সুইডেনের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক সচিব, অস্ট্রেলিয়া, তুরস্ক, জাপান ও নেদারল্যান্ডের ডেপুটি রাষ্ট্রদূত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডেপুটি চিফ, ইউএসএআইডির কান্ট্রি ম্যানেজার।

কাজের বিনিময়ে বিএনপি’র কাছ থেকে টাকা পাব : কালাইল
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলায় আইনি সহায়তার জন্য নিয়োগ পাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাজ্যের লর্ড সভার সদস্য ও আইনজীবী লর্ড কার্লাইল।

এই আইনজীবীর ভাষ্য, বিএনপির সঙ্গে তার এই সম্পর্ক একান্ত পেশাদারির। এ কাজের জন্য তিনি আনুপাতিক হারে ফি পাবেন।

Manual2 Ad Code

খালেদা জিয়ার মামলায় আইনি সহায়তা দিতে কার্লাইলকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে মঙ্গলবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা আসার পর নানা আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে কার্লাইলের মতামত জানতে চাওয়া হয়। ই-মেইলে করা প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

ব্রিটিশ এই আইনজীবী বলেন, লর্ড সভার সদস্যপদের সঙ্গে তার আইনজীবী হিসেবে কাজের কোনো সম্পর্ক নেই। একজন পেশাজীবী হিসেবে তিনি খালেদা জিয়ার পক্ষে পরামর্শ দেবেন।

Manual3 Ad Code

হাউস অব লর্ডসের প্রয়াত সদস্য লর্ড অ্যাভবেরি বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট সমাধানে বিবদমান প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সময়-সময় লন্ডনে সংলাপের আয়োজন করতেন। ২০১৬ সালে লর্ড অ্যাভবেরি মারা যান। তার মৃত্যুর পর লর্ড সভার সদস্য হিসেবে কার্লাইল ওই সংলাপ আয়োজনের দায়িত্ব নেন। তার আমন্ত্রণে এ পর্যন্ত লন্ডনে দুই দফা সংলাপের আয়োজন হয়।

একটা ‘মধ্যস্থতাকারীর’ ভূমিকায় থাকা অবস্থায় বিএনপি নেত্রীর আইনজীবী হিসেবে কাজ করার দায়িত্ব নেওয়া কতটা যৌক্তিক—এমন প্রশ্নের জবাবে কার্লাইল বলেন, ‘ওটা সম্পূর্ণ ভিন্ন দায়িত্ব।’

যদি সম্ভব হয় সংলাপের আয়োজনও চালিয়ে যাবেন বলে জানান কার্লাইল।

Manual3 Ad Code

খালেদা জিয়ার পক্ষে এমন কি ভূমিকা রাখবেন, যা বিএনপি নেত্রীর বাংলাদেশের আইনজীবীরা পারছেন না—প্রশ্নে কার্লাইল বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের শাসনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের আদালত সরকার থেকে কতটা স্বাধীন এবং ক্ষমতার বিভাজনের বিষয়টি কার্যকর বলে প্রমাণ হওয়া উচিত।

কার্লাইল নিজেকে আন্তর্জাতিক আর্থিক অপরাধ বিষয়ের অভিজ্ঞ আইনজীবী বলে দাবি করেন।

Manual1 Ad Code

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেন কার্লাইল। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ভূমিকার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে কার্লাইল দাবি করেন, একজন সাংসদ ও রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি ট্রাইব্যুনালের ঘাটতি নিয়ে কথা বলেছিলেন। কারণ, ওই ট্রাইব্যুনাল বিচারের আন্তর্জাতিক মান রক্ষার প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি।

মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় জামায়াতের পক্ষে কথা বলেছিলেন বলে অভিযোগ আছে—এমনটি স্মরণ করিয়ে দিলে কার্লাইল বলেন, এ অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য ও মানহানিকর। তিনি কোনো বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথা বলেন না।

বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে বেশ আগ্রহভরে পড়াশোনা করেছেন জানিয়ে কার্লাইল বলেন, তার বাংলাদেশ সফরের পরিকল্পনা আছে। যখন প্রয়োজন হবে, তিনি বাংলাদেশে যাবেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code