১৫ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৬
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘আমি পরিষ্কার বলে দিচ্ছি- এই দেশে কোচিং বাণিজ্য চলবে না। গাইড বই, নোটবই চলবে না। ছেলেমেয়েদের প্রতারিত করে অর্থলাভ করার জন্য কেউ কারো পদ্ধতি অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে পারবে না। আইনে এ বিষয়টিই তুলে ধরা হবে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণের জন্য সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদরাসা শিক্ষায় ডিজিটাইজেশনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা ক্ষেত্রে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড প্রাথমিক পর্যায় দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণীর মাদরাসা শিক্ষা ধারার চারটি পাঠ্যপুস্তক আইডিএমটি’তে রূপান্তর করেছে।
পাঠ্যপুস্তক ৪টি হলো- কুরআন মাজিদ ও তাজভিদ, আলআকাইদ ওয়াল ফিকহ, আললুগাতুল আরাবিয়্যাতুল ইত্তিসালিয়্যাহ (আরবি ১ম পত্র) ও কাওয়াইদুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ (আরবি ২য় পত্র)।
নুরুল ইসলাম নাহিদ আইডিএমটি ২০১৭ সালের দাখিল ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে বলেন, প্রত্যেক মাদরাসার শিক্ষার্থীরা সকলেই এটি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট থেকে বিনামূল্যে ডাউনলোড করে পড়তে পারবে।
তিনি বলেন, আইডিএমটি প্রচলিত পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল ভার্সন, যা অনলাইন বা অফলাইন সুবিধা নিয়ে ইলেকট্রনিক বিভিন্ন মাধ্যমে যেমন- কম্পিউটার, ট্যাব এমনকি মোবাইল ফোনেও পড়তে পারবেন। এটি একটি ই-লার্নিং মেটেরিয়াল, যা শিক্ষার্থীর শ্রেণী, বয়স, চাহিদা ও প্রবণতা বিবেচনা করে প্রণীত হয়েছে। প্রয়োজনীয় শব্দের অর্থ, বাস্তব উদাহরণ, কোনো ঘটনার বিবরণ বা বাস্তব দৃশ্য বা ছবি বা ভিডিও এতে সংযোজন করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী সুললিত কণ্ঠে কুরআন মজিদের সুরা ও আয়াতের তেলাওয়াত এবং গুরুত্বপূর্ণ আরবি অংশের অডিও এতে সংযুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে বলেন, আইডিএমটি সম্পাদনে বুয়েটের সিএসই বিভাগ কারিগরি সহযোগিতা করেছে। সুতরাং শিক্ষাকে অধিকতর সহজ ও আনন্দদায়ক করতে আইডিএমটি কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে এবং শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সকলেই এর দ্বারা উপকৃত হবেন।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, এই পদ্ধতি শুধু মাদরাসা শিক্ষা কার্যক্রমে নয়, সাধারণ শিক্ষায় প্রাথমিক-মাধ্যমিক পর্যায়ের ১৬টি বই প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় বাজেটর অভাবে একটু বিলম্ব হচ্ছে। শিগগিরই তা বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর আমরা ইংরেজি বছরের প্রথম দিন প্রথম শ্রেণী থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক তুলে দিয়ে বই ঊৎসব দিবস পালন করছি। এবারো প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত গতবারের চেয়ে ২ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ২৭৩টি বই বেশি ছাপা হচ্ছে। এবার মোট ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫ কপি বই ছাপানো হয়েছে। গতবছর বই বিতরণ করা হয়েছিল ৩৩ কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৯৭২টি।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় সকল স্কুলে বই পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। বিগত কয়েক বছরের মতো এবারো নির্ধারিত ১ জানুয়ারি দেশব্যাপী বই বা পাঠ্যপুস্তক উৎসব পালিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা নতুন প্রজন্ম উল্লেখ করে বলেন, তাই তাদেরকে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্বমানের জ্ঞান, দক্ষতা ও শিক্ষা অর্জন করতে হবে। শিক্ষার্থীদের শুধু মাত্র জ্ঞান ও দক্ষতা দিলেই হবে না, তাদেরকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বিগত বিএনপি-জামায়াতের জোট সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আপনারা আপনাদের শাসনামলে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসনের নাম করে দেশ শাসন করেছেন। আর সে সময় দেশ কয়েকবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।’
তিনি আরো বলেন, দেশে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে বর্তমান সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছে। এই সরকারের আমলে স্কুল-কলেজের মতো মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন সমান করে দেয়া হয়েছে।
নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ং সম্পন্ন, দেশে এখন উদ্বৃত্ত খাদ্য রয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা ৫০ হাজার মে. টন খাদ্য বিদেশে রপ্তানি করেছি।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে দেশ ২০২১ সালের মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তরের দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেন।
মাদরাসা শিক্ষা ধারায় নতুন সংযোজন ‘ইন্টার্যাকটিভ ডিজিটাল মাদরাসা টেক্সটবুকস (আইডিএমটি)’-এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. কায়কোবাদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. এস. এম ওয়াহিদুজ্জামান, কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব একেএম জাকির হোসেন ভূঁইয়া, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম ছায়েফ উল্যা।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D