যেভাবে অর্জিত হলো স্বাধীনতা

প্রকাশিত: ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৬

আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা একদিনে আসেনি, দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা। গণতন্ত্র ও অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে শুরু হয় চূড়ান্ত স্বাধীনতার যুদ্ধ। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে জনগণ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী করে। অথচ সাধারণ জনগণের ভোটের মূল্য দেয়নি পাকিস্তানি শাসক। মতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। মিছিল-মিটিং-সমাবেশে উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাকার রাজপথ। এরই মধ্যে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অসহায় নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে। ২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতিকে কোনো দিক-নির্দেশনা না দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। ওই অবস্থায় জাতি যখন দিশেহারা ঠিক এমনি এক অমানিশার ঘোর অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলসে উঠল প্রকৃতি ও মানুষ। বাতাসের প্রতিটি তরঙ্গে কান পেতে সবাই শুনলো ‘উই রিভোল্ট’। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের প্রভিশন্যাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মি চিফ হিসেবে মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। দীর্ঘ নয় মাস রক্তয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। গণতন্ত্র রায়, সাধারণ জনগণের ভোটের অধিকার রায় শুরু হওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামের আজ বিজয়ের ৪৫তম বর্ষে এসে ভূলুন্ঠিত জনগণের ভোটের অধিকার। বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কূটকৌশলে হরণ করেছে মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা গণতন্ত্র। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর মাসের নির্বাচনে শেখ মুজিবুর রহমানের দল আওয়ামী লীগ একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। পশ্চিম পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয় অর্জন করে জুলফিকার আলী ভুট্টোর পিপলস পার্টি। কেন্দ্রে সরকার গঠন নিয়ে নতুন করে শুরু হয় ষড়যন্ত্রের পালা। নির্বাচনের পর পাকিস্তানের ভবিষ্যৎ আরো অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। শেখ মুজিবুর রহমানের দল নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও মতা হস্তান্তরের ব্যাপারে টালবাহানা শুরু করে পশ্চিম পাকিস্তানিরা। এমনকি ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ডেকেও মুলতবি করা হয়। পাকিস্তানের সামরিক ও ভুট্টো চক্রের ষড়যন্ত্র এবং হঠকারিতার কারণে পূর্ব পাকিস্তানের সাধারণ জনগণের মাঝে স্বাধীনতার আকাক্সা দ্রুত প্রবলতর হয়ে উঠতে থাকে। এ জন্য মূলত দায়ী পাকিস্তানের সামরিক চক্র ও ভুট্টো। কারণ তারাই সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবের কাছে মতা হস্তান্তরের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতির রাজনৈতিক সমাধানের পরিবর্তে অবশেষে তারা সামরিক সমাধানের পথকেই বেছে নেয়। : ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত না হওয়ায় পশ্চিম পাকিস্তানিরা সামরিক অভিযানের মাধ্যমে স্বাধীনতা আন্দোলন দমন করতে চায়। সোনার বাংলাকে রক্তের বন্যায় ভাসিয়ে হানাদার বাহিনী এ দেশের জনগণের কাছ থেকে রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ ল্েয তারা ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল, আরমানিটোলা ও পিলখানায় নির্মম গণহত্যা চালায়। অসহায় নিরীহ মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হয়। ঘরে ঘরে ধর্ষণ ও লুটপাট চলে। বিপন্ন মানুষের আর্তচিৎকারে সেদিন আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত হলেও হানাদার বাহিনীর হৃদয়কে স্পর্শ করতে পারেনি। মুহুর্মুহু গোলাবারুদের বিস্ফোরণে রাজধানী ঢাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করেন। ঢাকা ত্যাগের পূর্বে তিনি সেনাবাহিনীকে গণহত্যার নির্দেশ দিয়ে যান। ঢাকা ত্যাগের আগে দিনের বেলায় রংপুর ও সৈয়দপুরে বেশ ক’টি জায়গায় স্বাধীনতাকামী ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়। এদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে বিলম্ব হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং হত্যাকান্ডকে দুর্ভাগ্যজনক বলে অভিহিত করেন। বিবৃতিতে শেখ মুজিব বলেন, ‘আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করেছি এবং রাজনৈতিক সমাধানের জন্য সর্বোচ্চ সদিচ্ছা দেখিয়েছি।’ তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও তার উপদেষ্টারা বিষয়টির রাজনৈতিক সমাধান চাইলে তাদের সেদিকেই যেতে হবে। তিনি দেশের বিভিন্নস্থানে নির্যাতন ও গুলিবর্ষণের প্রতিবাদে ২৭ মার্চ দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেন। ২৫ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতিকে কোনো দিক-নির্দেশনা না দিয়েই শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানিদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী শেখ মুজিবকে করাচিতে নিয়ে যায়। ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঘুমন্ত নিরস্ত্র মানুষের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা চালায়। পৃথিবীর ইতিহাসে বর্বরতম এই গণহত্যা ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে পরিচিত। এ সময় চির আকাক্সিত স্বাধীনতার লাল সূর্যটি যখন নির্যাতন ও দুঃশাসনের কালো মেঘের ফাঁকে উঁকি দিচ্ছিল ঠিক সেই সময় জাতির ভাগ্য অনিশ্চয়তায় মধ্যে ঠেলে দিয়ে প্রলয় আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে এ জাতির তথাকথিত রাজনীতিবিদ সিংহশাবকরা অনেকেই আত্মগোপন করেছিলেন। তাদের কেউ যান বুড়িগঙ্গা পেরিয়ে গগনদের বাড়িতে, কেউ যান ওপারে। মুহূর্তের মধ্যেই নেতৃত্বহীন হয়ে পড়ে জনগণ। নিজের বাঁচার পথ নিজেকেই বেছে নিতে হয়। নেতৃত্বহীন মানুষ সামনে এগিয়ে চলে। পেছনে পড়ে থাকে তথাকথিত রাজনীতিবিদদের পরিচ্ছন্ন পোশাক। অসীম সাহস, সুগভীর দেশপ্রেমের প্রচন্ড বাতাসে কালো মেঘ সরিয়ে জন্ম-জন্মান্তরের প্রত্যাশিত স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনতে (আজকের স্বাধীনতার সোল এজেন্ট বলে দাবিদার গোষ্ঠী) ব্যর্থ হলে জাতি পুনরায় অনাদিকালের জন্য পরাধীনতার নাগপাশে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ার উপক্রম হয়। এমনি এক অনিশ্চয়তা ও ভয়ঙ্কর অবস্থার মধ্যে ৫৫,৫৯৮ বর্গমাইলের বনিআদমেরা যখন বাকরুদ্ধ, শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, জীবন নিয়ে পালিয়ে বাঁচবে নাকি জীবন দিয়ে প্রতিরোধ করবে বুঝে উঠতে পারছে না। আশা দেয়ার, ভরসা দেয়ার, সান্ত্বÍনা দেয়ার যখন আর কেউ এগিয়ে আসছে না, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ঠিক এমনি এক অমানিশার ঘোর অন্ধকারে বিদ্যুৎ চমকের মতো ঝলসে উঠল প্রকৃতি ও মানুষ। বাতাসের প্রতিটি তরঙ্গে কান পেতে সবাই শুনলোÑ ‘উই রিভোল্ট’। প্রতিরোধের মশাল জ্বলে ওঠে চট্টগ্রামের ষোলশহরের অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকদের প্রাণপ্রিয় নেতার ডাকে। ৩৫ বছরের এক মেজর নিজ দায়িত্বে ঘোষণা করেন বিদ্রোহ। এটিই স্বাধীনতার পে প্রথম বিদ্রোহ। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের প্রভিশন্যাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মি চিফ হিসেবে জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। স্বাধীনতার ঘোষণায় তিনি বলেন, ‘প্রিয় সহযোদ্ধা ভাইয়েরা, আমি মেজর জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রভিশন্যাল প্রেসিডেন্ট ও লিবারেশন আর্মি চিফ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করছি এবং যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। বাংলাদেশ স্বাধীন। আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে নেমেছি। আপনারা যে যা পারেন সামর্থ্য অনুযায়ী অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে পড়–ন। আমাদেরকে যুদ্ধ করতে হবে এবং পাকিস্তানি বাহিনীকে দেশছাড়া করতে হবে। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ জিয়াউর রহমান তার এই স্বাধীনতার ঘোষণা বিশ্ববাসীর কাছে জানিয়ে দেয়ার জন্য ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে যান। বেতার কেন্দ্রের কর্মীরা মেজর জিয়াকে পেয়ে উৎফুল্ল হয়ে ওঠেন। বেতার কর্মীরা বারবার ঘোষণা করছিলেন : আর পনের মিনিট পরে মেজর জিয়া ভাষণ দেবেন। কিন্তু পনের মিনিট পার হয়ে যায়। এই সময়ের মধ্যে মেজর জিয়া মাত্র তিনটি লাইন লিখতে পেরেছিলেন। কারণ তাঁকে ভাবতে হচ্ছিল শব্দচয়ন, বক্তব্য পেশ প্রভৃতি নিয়ে। প্রায় দেড় ঘন্টা পর তিনি তৈরি করেন সেই ঐতিহাসিক ঘোষণাটি। নিজেই সেটা তিনি বাংলা এবং ইংরেজিতে পাঠ করেন। এই একটি কন্ঠের ঘোষণায় গোটা দেশ উঠে দাঁড়ায়। মানুষ হাতে তুলে নেয় অস্ত্র। স্বাধীনতার মন্ত্রে জ্বলে ওঠার সময় সেই কন্ঠ গর্জে ওঠে। সেই কন্ঠ স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল সৃষ্টি করার মতো মানুষের চেতনায় যুদ্ধ করার অমিত সাহস জোগায়। শত্রুর বিরুদ্ধে তৈরি করে ুব্ধ মানুষের অগ্নিবলয়। সেই সিংগা ফুঁকানো কন্ঠের ঐতিহাসিক ঘোষণা মানুষের রক্তে বিদ্রোহের বান ডেকে দেয়। ইতিহাসের সেই যুগ বদলে দেয়ার ঘোষণার মহানায়ক জিয়াউর রহমান। সবাই বুঝতে পারল চুপসে গেলে চলবে না, ঝলসে উঠতে হবে। দিকভ্রান্ত জাতি খুঁজে পায় পথ। ফিরে পায় আত্মবিশ্বাস। মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা শুনেই সেদিন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের মাঝে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার হয় এবং তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে যান, গঠন করেন অস্থায়ী সরকার। এদিকে বাংলাদেশে মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে চলতে থাকে স্বাধীনতা যুদ্ধ। জলে-স্থলে-আকাশে চলতে থাকে তীব্র প্রতিরোধ। এরই মধ্যে ভারতের প্রতিরোধের মুখে হানাদার বাহিনীর জন্য পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সর্বপ্রকার সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। অন্য কথায়, ততদিনে পাক হানাদার বাহিনী পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে আটকে পড়েছে বাংলাদেশের মাটিতে। মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক আক্রমণের ফলে তাদের মনোবলও ভেঙে পড়ে। এ অবস্থায় দিল্লিস্থ মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে আলোচনা শুরু হয় পাক হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের ব্যাপারে। ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করে ভারত আল্টিমেটাম দেয়। এবার সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু হয়। মাত্র ১৩ দিনের যুদ্ধে পাকবাহিনী নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে। অর্জিত হয় আমাদের স্বাধীনতা। কিন্তু প্রায় নয় মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশের অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধারা যখন পাকিস্তানি বাহিনীকে কোণঠাসা করে একের পর এক এলাকামুক্ত করছিল, যখন পাক হানাদার বাহিনী গ্রাম ছেড়ে মূল শহরগুলোতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল, তখন ভারত ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সাহায্য করে। মাত্র ১৩ দিন যুদ্ধ করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সব কৃতিত্ব ভারত নিজের বলে দাবি করার অপচেষ্টা চালায়। অবশেষে ৩০ লাখ শহীদের রক্তে, সম্ভ্রমহারা দশ লাখ মা-বোন-জায়ার ক্রন্দনধোঁয়ায় ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভোরের যে রাঙা আলোটি স্পর্শ করেছিল ভূমি, দেনদরবার নয়, কারো দয়ার দানে নয়, সাগর-সমান রক্তের দামে বাংলাদেশ ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা, রক্ত-সাগর পেরিয়ে গৌরবময় এই বিজয়ের সূচনা জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই। : : খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে ১০ সদস্যের দল যাবেন বঙ্গভবনে ইসি গঠন নিয়ে আলোচনা : দিনকাল রিপোর্ট : নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বঙ্গভবনে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে বিএনপির ১০ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন দলটির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা প্রতিনিধি দলে থাকবেন। বিএনপির প্রতিনিধিদলের একটি তালিকা গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে পাঠানো হয়েছে। দলের সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন ও বেলাল আহমেদ নামের তালিকা সম্বলিত মহাসচিবের চিঠি নিয়ে বঙ্গভবনে গেছেন। প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের সচিব বরাবর ওই চিঠি পাঠানো হয়েছে। ১৮ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট