বিশ্ব ইজতেমা ১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু

প্রকাশিত: ১১:৩১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৬

গাজীপুর : তুরাগ তীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। এবারো পাঁচ স্তরের র‌্যাব-পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবায় ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে।

বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় জানানো হয়, মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক ও ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমে তুরাগ নদের ওপর সাতটি পন্টুন ব্রিজ তৈরি করবে সেনাবাহিনী। ইজতেমায় আগত ব্যক্তিদের তিন স্তরে নিরাপত্তা দেবে র‌্যাব।

এ ছাড়া মোটরসাইকেল টহল, নৌ টহল ও হেলিকপ্টারে টহলে থাকবেন র‌্যাবের সদস্যরা। বিপুলসংখ্যক র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদাপোশাকে পুরো ইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেবেন। র‌্যাবের নয়টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে ইজতেমা ময়দানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

সভায় রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইজতেমার মোনাজাতের দিন ১১৫টি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে টঙ্গী স্টেশনে। মুসল্লিদের জন্য অজু, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার ও ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রি করা হবে। বিআরটিসির ৩৫০টি বাস মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত থাকবে।

এ ছাড়া বিদেশি মেহমানদের কাকরাইল মসজিদ এবং বিমানবন্দর থেকে ইজতেমা ময়দানে আনার জন্য পর্যাপ্ত এসি বাস বরাদ্দ থাকবে। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার নতুন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।

আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আগামী ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব। ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমা শেষ হবে ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট