৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, জুন ৬, ২০২০
প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাই আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যা। তার চেয়ে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের হার। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের মতোই ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন ব্যাংকাররা। তার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকি ভিতর রয়েছেন সরকারি সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। এ পর্যন্ত ব্যাংকটির ১০৩ জন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছেন করোনায়। মৃত্যুবরণ করেছেন তিনজন।
সম্প্রতি একটি টেলিভিশনের লাইভ প্রোগ্রাম এসে এ তথ্য জানিয়েছেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমান প্রধান।
ব্যাংকগুলোর তথ্য অনুযায়ী, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে এখন পর্যন্ত ১২ জন ব্যাংকারের মৃত্যু হয়েছে; এর মধ্যে একজন ব্যাংকের পরিচালক রয়েছেন। আর করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও কয়েকজন ব্যাংকার। গত ৩ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন রূপালী ব্যাংক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান (৫৬)। আর করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ব্যাংকিং খাতে কর্মরত শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী। এর মধ্যে শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই আক্রান্ত হয়েছেন অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা।
পরিস্থিতি এমন ভয়াবহ হওয়ার পরও যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না অনেক ব্যাংক। কোনো শাখায় কেউ আক্রান্ত হলেও সেসব শাখা লকডাউনের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। যেটুকু করা হচ্ছে তা হলো, আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছুটিতে পাঠিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে ব্যাংকিং।
রূপালী ব্যাংকের যে কর্মকর্তা মারা গেছেন তিনি ফকিরাপুল শাখায় অফিসার (ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। কুমিল্লায় নিজ বাড়িতে তিনি মারা যান। উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া মিজানুর রহমানের নমুনা পরীক্ষা হলেও তার ফলাফল এখনো জানা যায়নি। এর আগে একই ব্যাংকের কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম খান (৪৯) কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া অন্য কর্মকর্তারা হলেন- সিটি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের মুজতবা শাহরিয়ার, সোনালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার (পিও) মাহবুব এলাহী, এনসিসি ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখার অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট জামশেদ হায়দার চৌধুরী, উত্তরা ব্যাংকের শান্তিনগর শাখার কর্মকর্তা ওয়াহিদ মর্তুজা, জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিসের প্রশাসন শাখার এক্সিকিউটিভ অফিসার হাসিবুর রহমান, সিটি ব্যাংকের অ্যাসিসটেন্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট পদের আবু সাঈদ এবং মো. সামসুদ্দিন।
করোনায় মারা গেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের এসএভিপি মো. বাশার, অগ্রণী ব্যাংকের কর্মকর্তা মো আব্দুল মালেক, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ইমামগঞ্জ শাখার ক্যাশ ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান। এছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেশের অন্যতম শিল্পপতি এস আলম গ্রুপ ও এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের পরিচালক মোরশেদ আলম। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ ব্যাংকেই স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না।
ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারীরিক দূরত্ব মানার জন্য ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আসন বিন্যাসে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। ব্যাংকগুলোতে রোস্টার পদ্ধতি করা হলেও তা মানা হচ্ছে না। ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংকেও একই অবস্থা বলে জানা গেছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে কর্মীদের সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক ভিত্তিতে রোস্টারিং ডিউটির ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল। গতকাল (৪ জুন) এই দাবি মেনে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D