সিলেটের দক্ষিণ সুরমা রণক্ষেত্র বাস ও অটোরিকসা শ্রমিকদের মধ্যে তুমূল সংঘর্ষ

প্রকাশিত: ১:৪৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৩, ২০১৬

দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকায় সিএনজি অটোরিকসা পার্কিংয়ের সামনের রাস্তা থেকে বাসে যাত্রী উঠা-নামাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা ৩টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। এসময় ভার্থখলা এলাকার রাজপথ রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। এসময় দক্ষিণ থানা বিপুল সংখ্যং ক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্ঠা করে।

অটোরিকসা শ্রমিকদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিলেট নগরীর ব্যস্ততম ক্বীন ব্রীজের মোড়ে বাস ও লেগুনা দাড়িয়ে যাত্রি উঠা-নামা করে। এখানে সিএনজি অটোরিকসায় যাত্রী তোলা বা নামানো হলে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান বিশ্বনাথ রোড কমিটির আসকর মিয়া। তিনি প্রতিদিন সিএনজি অটোরিকসা চালকদের স্বাভাবিক কাজ কর্মে আপত্তি ও বিঘœ সৃষ্ঠি করেন। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার অটোরিকসা চালকদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন আসকর মিয়া। এর প্রতিবাদে অটোরিকসা চালকরা রাস্তায় অবরোধ সৃষ্ঠি করেন। এক পর্যায়ে অটোরিকসা চালক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে পৌছে চালকদের শান্ত থাকার অনুরোধ করেন। তারা একথায় রাজি হয়ে অবরোধ প্রত্যাহার করে সিএনজি অটোরিকসা স্ট্যান্ডে এসে জড়ো হন। এই সময়ে আসকরের নেতৃত্বে ১৫/২০জন লোক সশস্ত্র অবস্থায় সি.এন.জি চালকদের ধাওয়া করে। এসময় তারা হামলা চালিয়ে ১৫/২০টি অটোরিকসা ভাংচুর করে। তবে বাস চালক ও শ্রমিকদের পক্ষে নেতৃবৃন্দ দাবী করেন তাদের বাসের একজন হেলপার ও চালককে লাঞ্চিত করেন অটোরিকসা চালকরা। খবর পেয়ে অন্যান্য চালক ও শ্রমিকরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়।
এঘটনায় উত্তেজনা দেখা দিলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এসময় অটোরিকসাতে টহলরত পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালানো হয় ও তাদের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে পুলিশ। সংঘর্ষের সময় কিছু অটোরিকসা ভাংচুর হয়েছে। হামলার সূত্রপাত সম্পর্কে উভয় পক্ষের কাছ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।

02এব্যপারে সিলেট জেলা সিএনজি অটোরিকসা শ্রমিক ইউনিয়নের চট্র ৭০৭ সভাপতি জাকারিয়া আহমদ জানান, আসলে জনৈক আসকর আলী নিজেকে বাসের ম্যানেজার দাবী করে অটোরিকসা চালকদের যাত্রী উঠা-নামা করতে বাঁধা প্রদান করেন। বেশ কিছুদিন ধরে তার এই তৎপরতায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন অটোরিকসা চালকরা। শনিবার একই কায়দায় আসকর আলী অটোরিকসা চালকদের সাথে অশোভন আচরণ ও বাধা প্রদান করেন। এঅবস্থায় ঝগড়া বেধে গেলে আসকর আলীর লোকজনের হামলায় বেশ কয়েকটি অটোরিকসা ভাংচুর করা হয়। সন্ধ্যা ৬টায় এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি শান্ত ছিলো।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট