সিলেটে জাতীয় কমিটির মিছিল সমাবেশ

প্রকাশিত: ২:১৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০১৬

সুন্দরবন ধ্বংসী কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে গত ১৮ অক্টোবর ভারতীয় দূতাবাসে জাতীয় কমিটির স্মারকলিপি প্রদানের মিছিলে পুলিশী হামলার প্রতিবাদে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি সিলেট জেলা শাখা বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ আক্টোবর) বিকাল ৪টায় নগরীর কোর্ট পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের গুরুত্ব পূর্ণ পয়েন্ট প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসে বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
জাতীয় কমিটি সিলেট জেলা শাখার সভাপতি ব্যারিষ্টার মোঃ আরশ আলীর সভাপতিত্বে ও জেলার সাধারণ সম্পাদক এড্যাভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন এর পরিচালনায় উপস্তিত ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলার সভাপতি আবুল হোসেন, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মো: আরিফ মিয়া, বাসদ সিলেট জেলার সমন্বয়ক আবু জাফর, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য এড্যাভোকেট হুমায়ুন রশীদ শোয়েব, সাম্যবাদী দল সিলেট জেলার সদস্য ব্রজ গোপাল চৌধুরী, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক গুলজার আহমদ, বাসদ সিলেট জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, ওয়ার্কার্স পার্টি সিলেট জেলা সদস্য ইন্দ্রানী সেন, বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য সুশান্ত সিনহা সুমন, বাসদ সিলেট জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল, গণতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার প্রচার সম্পাদক আজিজুর রহমান খোকন প্রমূখ।
সভায় বক্তরা, জাতীয় কমিটির ১৮ অক্টোবর ভারতীয় দূতাবাসে শান্তিপূর্ণ স্মারকলিপি প্রদানের মিছিলে পুলিশী হামলার তীব্র নিন্দা জানান। তারা বলেন, আমরা তথ্য-উপাত্ত ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলন করে যাচ্ছি। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়। কিন্তু সরকার পুলিশ দিয়ে হামলা করে আমাদের নেতা-কর্মীদের আহত করে। সরকার যুক্তিতে না পেরে শক্তি প্রয়োগ করে আন্দোলন দমন করতে চায়। জাতীয় কমিটি সকল হামলা-হুমকি মোকাবিলা করে সুন্দরবন ধ্বংসী কয়লাভিত্তিক রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সভায় বক্তারা বলেন, ইউনেস্কো বৈজ্ঞানিক তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে স¤প্রতি সরকারকে দেখিয়েছে, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে সুন্দরবন কীভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তারা রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র সহ সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ সব বাণিজ্যিক তৎপরতা বন্ধ করতে বলেছে। ইউনেস্কো টিম যখন বাংলাদেশ সফর করে তখন তাদের পরিকল্পনা ছিলো, দুইপক্ষের কথাই তারা শুনবে। কিন্তু সরকার নানা বাহানা সৃষ্টি করে আমাদের সাথে কোনো সভা করবার সময় রাখেনি। তারপরও তারা স্বাধীনভাবে তথ্য সংগ্রহ করে যথাযথ সিদ্ধান্তে এসেছে। কোম্পানি, ভূমিগ্রাসী ও বনগ্রাসী গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত না হলে, নির্মোহ বিচার বিশ্লেষণ করলে সরকারও যে একই সিদ্ধান্তে আসবে সেটা আমরা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি।

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট