‘ফানুসের আলোয় দূর হোক সাম্প্রদায়িক অন্ধকার’

প্রকাশিত: ৭:৪৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০১৬

Manual7 Ad Code

“আমি ঘুরিয়া ঘুরিয়া সন্ধানো করিয়া স্বপ্নেরও পাখি ধরতে চাই, আমি স্বপ্নেরও কথা বলতে চাই, আমার অন্তরের কথা বলতে চাই…” বিশ্ব বৌদ্ধ স¤প্রদায়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ধর্মীয় উৎসব শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা।

Manual4 Ad Code

পূজনীয় ভিক্ষুসংঘের ত্রৈমাসিক বর্ষাব্রত শেষে আসে এ প্রবারণা তীথি। প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধির অনুষ্ঠান, অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এ প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে দেশের প্রতি বিহারে বিহারে শুরু হবে পবিত্র কঠিন চীবর দানোৎসব। এছাড়া প্রভাতফেরি, ভিক্ষুসংঘের প্রাতঃরাশ, জাতীয় ও ধর্মীয় পতাকা উত্তোলন, ভিক্ষুসংঘের পিÐদান, শীল গ্রহণ ও প্রদীপপূজার মধ্য দিয়ে পালিত হয়। দিনের শেষে সন্ধ্যায় তীথির মূল আকর্ষণ পবিত্র ফানুস উড়ানো উৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

Manual6 Ad Code

বাষারী পূর্ণিমা থেকে তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করে আশিবনী পূর্ণিমায় পরিসমাপ্তি ঘটে। এই পূর্ণিমা তিথিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা নিজ কৃত অপরাধ বা পাপ স্বীকার করে পরিশুদ্ধ হয়। ফলে এটি প্রবারণা পূর্ণিমা নামে খ্যাত। এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণ আকাশে ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজা করে। প্রচলিত আছে গৌতম বুদ্ধের চুল আকাশে ভাসমান, এই চুলের কাছাকাছি পৌঁছাতেই ফানুস বাতি উড়িয়ে পূজো করা হয়।

“ফানুসের আলোয় দূর হোক সা¤প্রদায়িক অন্ধকার” বৌদ্ধদের এমন স্লোগানে সারা দেশের ন্যায় গতকাল ১৫ অক্টোবর শনিবার প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সিলেট বৌদ্ধ বিহারেও দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রবারণা পূর্ণিমা অনুষ্ঠান।

Manual2 Ad Code

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে গতকাল শনিবার সিলেট বৌদ্ধ বিহারে অনুষ্ঠিত হয়েছে বুদ্ধপূজা। অনুষ্ঠিত পূজায় ধর্মীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, অষ্টশীল গ্রহণ, পঞ্চশীল গ্রহণ, স্বধর্মালোচনা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও সন্ধ্যায় ফানুস উত্তোলনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপণী হয়।

দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সিলেট বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিসহ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২১ অক্টোবর শুক্রবার ‘সিলেট বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান’ অনুষ্ঠিত হবে।

Manual7 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual2 Ad Code