১৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:২৭ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০১৬
যখন দেশজুড়ে এক বখাটে প্রেমিক বদরুলের হামলায় খাদিজা আহতের ঘটনা নিয়ে তোলপাড় চলছে, ঠিক এমন সময় আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। হবিগঞ্জ থেকে এসে শাবি ক্যাম্পাসে এক ছাত্রীকে প্রেম নিবেদন করেন প্রেমিক কাওছার। প্রেম প্রত্যাখ্যান করায় ওই ছাত্রীকে তিনি মারপিট করেন। এ সময় কাওছারের সঙ্গে তার বোনও ছিলেন। এ ঘটনায় হাতেনাতে ধরে শাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কাওছারকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে শাবি ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ছাত্রী শাবির নৃবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের।
শাবি সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার দুপুরে শাবি ছাত্রীর সাথে দেখা করতে ক্যাম্পাসে আসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র কাওছার আহমদ ও তার বোন। ক্যাম্পাসে আলাপচারিতার একপর্যায়ে ভাই-বোন মিলে ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করতে থাকেন। এ সময় শাবি অধ্যাপক সামসুল আলম ও সাজেদুল করিম ঘটনাস্থল দিয়ে যাওয়ার সময় কাওছারকে থামানোর চেষ্টা করেন। এতে কাওছার ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকদের উপরই চড়াও হন। পরে সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে কাওছারকে মারধর করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে জালালাবাদ থানাপুলিশ ক্যাম্পাসে গিয়ে কাওছার ও তার বোনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীদের শান্ত করে কাওছার আহমদ, তার বোন ও লাঞ্ছিত ছাত্রীকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
জালালাবাদ থানা সূত্র জানায়, ওই ছাত্রীর সাথে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে দাবি করেছেন কাওছার। ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ভুল বুঝাবুঝি হিসেবে দাবি করছেন তিনি। তারা দুজনের বাড়িই হবিগঞ্জ জেলায়। থানায় প্রথমে তারা দুজনই পুলিশ হেফাজতে ছিলেন। এসময় কাওছার আক্রান্ত ছাত্রীকে মামলা না করার অনুরোধ করেন। কিন্তু ছাত্রী তার ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করার সিদ্ধান্ত নেন। পরে পুলিশ ওই ছাত্রীকে শাবির শিক্ষকদের হেফাজতে দেয়। আর কাওছার ও তার বোনকে আটক করে হাজতে রাখা হয়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, কাওছার ও তার বোনকে থানায় আটক রাখা হয়েছে। মারধরের শিকার হওয়া ছাত্রী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাকে শাবি শিক্ষকদের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, আমাদের কাছে ছাত্রীকে মারধরের ভিডিও ফুটেজও আছে। ছাত্রী মামলা করলে আমরা সব আইনি সহায়তা দেব।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D