১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০১ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৫, ২০১৯
ইন্টারনেট প্রটোকল (আইপি) ক্যামেরার আওতায় আসছে সিলেট নগরী। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরা শুধু চিত্রধারণই নয়, শনাক্ত করবে অপরাধীদের।
ক্যামেরার গোয়েন্দা চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাতে পারবে না কোনো দাগি অপরাধী। চোরাই গাড়ি, মোটরসাইকেল উদ্ধার ও নগরীর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এই ক্যামেরা। বর্তমানে এই প্রকল্পের কাজ চলছে। কাজ শেষে আগামী মাসেই প্রকল্পটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে পুলিশকে।
সিলেট মহানগর পুলিশ (এসএমপি) সূত্র জানায়, চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডের লাগাম টানতে এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১১০টি স্থানে আইপি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
‘ডিজিটাল সিলেট সিটি’ প্রকল্পের আওতায় অত্যাধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ এসব ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। এসব ক্যামেরার মধ্যে ১০টিতে আছে ‘ফেইস রিকগনিশন’ ফিচার। এই ফিচারের মাধ্যমে পুলিশের তালিকাভুক্ত যে কোনো অপরাধীর গতিবিধি সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব হবে।
ফেইস রিকগনিশন ক্যামেরার আওতায় আসা ব্যক্তিদের ছবি নিজস্ব সার্ভারের সঙ্গে মিলিয়ে দেখবে আইপি ক্যামেরা। ক্যামেরায় ধরা পড়া কারও ছবি যদি সার্ভারে থাকা অপরাধীর ছবির সঙ্গে মিলে যায়, তবে তাৎক্ষণিক সিগন্যাল বেজে উঠবে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে। এর ফলে ওই অপরাধী কোন এলাকায় আছে, তা সহজেই জেনে তাকে পাকড়াও করা সহজ হবে পুলিশের জন্য। শুধু অপরাধী শনাক্তই নয়, অত্যাধুনিক এসব ক্যামেরায় থাকা ‘অটো নম্বর প্লেট রিকগনিশন’ ফিচার ব্যবহার করে যে কোনো যানবাহনের গতিবিধিও পর্যবেক্ষণ করতে পারবে পুলিশ। এক্ষেত্রে অপরাধে সংশ্লিষ্ট কোনো যানবাহনের নম্বর দিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে নগরীতে সেটির অবস্থান শনাক্ত করতে পারবে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, সিলেট নগরীর প্রবেশপথসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ফেইস রিকগনিশন ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এ ছাড়া নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে বসানো হয়েছে বাকি ক্যামেরাগুলো।
নগরীর কিনব্রিজ, সুরমা পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, টিলাগড় প্রভৃতি স্থানে বসানো এসব ক্যামেরা বর্তমানে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ তদারকি করছে। চীনের হুওয়াইয়ে এই প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ সরবরাহ করেছে। এসব ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণের জন্য সিলেট নগরীর কোতোয়ালি থানার দ্বিতীয় তলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বসানো হয়েছে। এ নিয়ন্ত্রণ কক্ষে থাকবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তারা। ডিজিটাল সিলেট সিটি প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর মধুসূদন চন্দ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘নগরীতে ১১০টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এগুলো গতানুগতিক ক্যামেরা নয়, ছবি সংরক্ষণের পাশাপাশি আরও কিছু কাজ করবে এগুলো।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D