সিসিক নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে শঙ্কিত আরিফুল হক চৌধুরী

প্রকাশিত: ২:২৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০১৮

সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সুষ্টু পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোট সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি এও বলেছেন, ‘যত চেষ্টাই করেন না কেন তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন না। সিলেটের জনগণকে নিয়ে মাঠে থাকবেন।’

শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নগরীর শাহী ঈদগাহস্থ মিতা কমিউনিটি সেন্টারে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ে নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন আরিফ। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নেতাকর্মীদের হামলা-মামলা, গ্রেফতার ও বাসা-বাড়ীতে তল্লাশীসহ নানা ভাবে হয়রানী বেড়ে গেছে। বিষয়টিকে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতি উৎসাহী কিছু সদস্যের কর্মকা- বলেও আখ্যা দেন।

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন থেকে সরবোনা। যারা প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় সিলেটের নাগরিকদের নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো। নির্বাচনের সাথে সাথে আন্দোলনও চলবে। দেয়ালে পিঠ লেগে গেছে, আমাদের পিছনে থাকানোর সময় নেই। আগামী ৩০ তারিখ নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক, সিলেটের ৫ লাখ মানুষকে নিয়ে রাতভর সিলেটের রাজপথে থাকার ঘোষণাও দেন তিনি।’

ফলাফল সরকার দলের প্রার্থীর পক্ষে নেওয়ার পায়তারা চলছে অভিযোগ করে আরিফ বলেন, ‘আমার নির্বাচন পরিচালনায় থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধা, গ্রেফতার, গুম করে ভোটকেন্দ্র দখল করে ফলাফল ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে নেওয়ার পায়তারা চলছে বলে আশঙ্কা করছি। এরই ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ জোটের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, বাসা-বাড়িতে তল্লাশী মাধ্যমে হয়রানীসহ আতংক সৃষ্টি করা হচ্ছে।’

তিনি দাবি করেন, ‘আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে কুশিঘাটে তাদের নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে, বিএনপির দুই কর্মীর খুঁজে উপশহরে উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়েল সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করলেও পরদিন বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আসামী করে মামলা করা হয়। এছাড়া দক্ষিণ সুরমায় পুলিশ কনস্টেবলের ওপর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রাতে চৌকিদেখিতে নিজের কার্যালয়ে নিজের বাহিনী দিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। জানিনা আর কত নাটকের ঘটনা আমাদের কে নিয়ে সৃষ্টি করা হচ্ছে, সেজন্য তিনি শঙ্কিত বলেও উল্লেখ করেন।

এসময় তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘ধারাবাহিকভাবে শান্ত নগরীকে অশান্ত করা কিসের আলামত? নগরবাসী তা ভালো করে যানেন। নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ সকল ভয়ভীতি উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রে আমানত ভোট দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন। এই নির্বাচন স্থানীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে রাষ্ট্রপ্রধানের পরিবর্তন হবেনা। আন্তরিকতা থাকলে রাষ্ট্রপ্রধান যেই হোননা কেন নগরের উন্নয়ন হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জনগণের সমর্থন বেড়ে যাওয়ায় কারণে আপনাদের আতংক সৃষ্টি হয় সেটার জন্য এমন আচরণ করলে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। জনগণ স্থানীয় নির্বাচনে ভোটের প্রতি অনিহা আসলে তা দেশের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। আপনারা যদি জনপ্রিয় হয়ে থাকেন, জনগণ যদি আপনাদের ভোট দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে থাকে তাহলে আপনারা ৩০তারিখের জন্য অপেক্ষা করেন। জনগণ নির্বাচিত করলে আমরা স্বাগত জানাবো। তবে এর আগে আমাদের নির্বাচন পরিচালনাকারী নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার অনুরোধ করছি।’

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা ও আরিফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এম এ হক, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী, কাহির চৌধুরীসহ জেলা ও মহানগর বিএনপি নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট