কদমতলীতে কাউন্সিলর প্রার্থীর প্রচারণায় বখাটেদের হামলা : আহত তিন

প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ণ, জুলাই ১৯, ২০১৮

সিলেট সংবাদ ডেস্ক ::  সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ মন্নানের প্রচারণায় কয়েকজন বখাটে হামলা চালিয়েছে। এ হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় সিলেট নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের কদমতলী ফেরিঘাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলেন, দক্ষিণ সুরমা বরইকান্দি এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে রিমন আহমদ, ভার্থখলা এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে ও সিএনজি চালক রমজান মিয়া এবং মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানার গানের শিল্পী মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে ছোয়াব আলী। এদের মধ্যে রিমন আহমদকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী ওয়ার্ডে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।

হামলায় আহতরা সবাই কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ মন্নানের সর্মথক ও টিফিন মার্কার প্রচারনার কাজে ছিলেন। হামলার পরপরই কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ মন্নান ক্বীন ব্রীজের দক্ষিণ পাশে মৌবন মার্কেটের সামনে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান নেন। এ সময় কদমতলী ও ভার্থখলা এলাকার মুরব্বিয়ান এবং দক্ষিণ সুরমা থানার পুলিশের সহযোগিতায় ও হামলা ঘটনায় সুষ্ট বিচারের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন তার সর্মথকরা।

অপরদিকে, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তৌফিক বক্স লিপন এর ভাতিজা ও তার সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করেছেন একই ওয়ার্ডের কাউন্সির প্রার্থী এম এ মন্নান।

তবে তৌফিক বক্স লিপন এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,  সিলেট সিটি করপোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ মন্নানের প্রচারের জন্য সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে মাইক নিয়ে কদমতলী ফেরিঘাট এলাকায় প্রচারের জন্য যান সমর্থকরা।

এ সময় ঐ এলাকায় অবস্থানকারী কয়েকজন বখাটে তরুণ এম এ মন্নানের প্রচারণার গাড়ি আটকিয়ে গাড়ি ভাংচুর ও প্রচারণার কাজে থাকা লোকদের উপর হামলা চালায়। এ হামলায় রিমন আহমদের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত কাটা জখম করা হয়। তাছাড়া রমজান মিয়া ও ছোয়াব আলীকে মারপিট করে আহত করা হয়। পরবর্তীতে ঐ এরাকার লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে সেখানের কর্তব্যরত ডাক্তারা রিমন আহমদকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান ও অন্যদেরকে প্রাথমিক চিৎকিসা দেন।

কাউন্সিলর প্রার্থী তৌফিক বক্স লিপন জানান, আমার আপন কোন ভাতিজা নেই। আর বিষয়টি আমি শুনেছি। কে বা কারা এ হামলায় জড়িত তা ও জানা নেই। তবে যতদুর জানি ঐ এলাকায় একজন লোক মাইক বাজাতে বাধা প্রদান করেছেন এ নিয়ে হামলার ঘটনাটি ঘটতে পারে।

আরেকটি সূত্র জানায়, কাউন্সিলর প্রার্থী তৌফিক বক্স লিপনের জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করার জন্য এ রকম ঘৃণ্যতম হামলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে। হামলাকারীরা কেউ কাউন্সিলর প্রার্থী তৌফিক বক্স লিপনের সমর্থক কিংবা কর্মী নয়। এরা বখাটে।

টার্মিনাল পুলিশ ফাড়ির এএসআই মো. মোখলেছুর রহমান জানান, তিনি ডিউটি করাকালিন ক্বীন ব্রীজের দক্ষিণ পাশে মৌবন মার্কেটের সামনে রাস্তায় এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অবস্থানের খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে এলাকার মুরব্বিয়ানদেরকে নিয়ে সুষ্ট সমাধানের লক্ষে তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।

দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খায়রুল ফজল জানান, কদমতলী ফেরিঘাট এলাকায় হামলার ঘটনা শুনেছি। তবে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট