কীন ব্রীজের দুই প্রান্তে প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন : ওদের ঠেকাবে কে ?

প্রকাশিত: ২:৪৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০১৬

Manual3 Ad Code

আব্দুস সাহিদ : নগরীর কীন ব্রীজের দুই প্রান্তে প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন। প্রায় সারাদিন মাদকসেবীদের দখলে থাকে এই এলাকা। মাদকের গন্ধে নিরীহ পথচারিদের প্রায়ই অস্বস্তিতে পড়তে হয়।

Manual8 Ad Code

কীন ব্রীজের উত্তর প্রান্তের জালালাবাদ পৌরপার্কের সামনে থেকে শুরু করে সার্কিট হাউস, সুরমা নদীর উত্তর তীর, সারদা স্মৃতি ভবনের আশপাশ এলাকায় প্রায় সারাদিন মাদক সেবিদের আড্ডা চলে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এ এলাকাটি তারা রীতিমতো দখল করে নেয়। এই মাদকসেবীদের বেশির ভাগই ব্রিজের রিক্সা ঠেলানো শ্রমিক, রিক্সা এবং ঠেলাওয়ালা। এদের মধ্যে পকেট চোর ও ছিনতাইকারি ও আছে বলে জানিয়েছেন কয়েকজন চা ওয়ালা। এরা দুই তিনজনের একেকটা দলে বিভক্ত হয়ে সেবন করে গাঁজা আর বাংলা মদ। অবশ্য মাঝে মাঝে রাতে এ এলাকায় হেরোইনসেবীদের ও দেখা যায়।
কোতোয়ালী থানার পাশেই মাদকসেবীদের এমন আড্ডা চলে প্রায় প্রতিদিন। পুলিশ মাঝে মাঝে ২/৪ জনকে ধরে নিয়ে গেলেও কোন লাভ হয়না। ছাড়া পেয়ে আবার তারা শুরু করে পুরানো কর্ম। তাছাড়া প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন মাদকসেবীর আগমন ঘটে। অবশ্য হাতে নাতে এদের ধরা ও মুশকিল। রিপনের (২৮) বাড়ী হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে। সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় আরো দুুই সঙ্গীসহ তাকে গাঁজা টানতে দেখা গেল ব্রিজের উত্তর প্রান্তে। পৌরপার্কের দক্ষিণ দিকের বাইরের অংশে বসে গাঁজা টানতে টানতে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছি যে প্রকাশ্যে গাঁজা টানা প্রসঙ্গে বলেন, খাই মামু, ইচ্ছা অয় খাই, আর পুলিশ দেখলে দৌড়াই। রিকশা ঠেলতে ঠেলতে রোজগার করি, ভাত আর গাইন্জা খাইয়া খরচ করি।
এ সময় ফুটপাত দিয়ে এক মহিলা ও  দুটি বাচ্চা নিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন মাঝ বয়সী এক ভদ্রলোক। হঠাৎ চোখে মুখে রাজ্যের বিরক্তি নিয়ে নিজের নাকটা চেপে ধরলেন। তারপর থু, থু করতে করতে বললেন,‘সিলট কিতা পুলিশ টুলিশ নাইনি?” ব্রীজের দক্ষিণ প্রান্ত তুলনামূলক নিরিবিলি। এখানেও প্রায় সারাদিন মাদক সেবন চলে।

Manual3 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual3 Ad Code