১৪ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৭ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৭, ২০১৬
এক ব্যক্তির জালিয়াতির কারণে দুই যুগ ধরে বসবাস করে আসা তারাপুর মৌজার সাড়ে ৩ হাজার নিরিহ পরিবারকে ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ না করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছেন সিলেটের তারাপুর এলাকাবাসী। রোববার দুপুরে সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহবান জানান।
তারাপুর এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন এম শাহরিয়ার কবির সেলিম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ দুই যুগ ধরে তারাপুর মৌজায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার জায়গা-জমি ক্রয় করে বসবাস করে আসছে। যথাযথ নিয়ম মেনে সিটি করপোরেশনের অনুমোদন নিয়ে বসতভিটা নির্মাণ করে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ করা হয়েছে। এ নিয়ে কখনো কোন আপত্তি উত্থাপিত হয়নি। জায়গা রেজিস্ট্রি অথবা গ্যাস-সংযোগ প্রদানে এলাকাবাসী কখনো বাধার সম্মুখিন হননি। কিন্তু দীর্ঘ দুই যুগ পর গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের নোটিশ পেয়ে এলাকাবাসী কিংকর্তব্যবিমুঢ়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি একটি মামলার প্রেক্ষিতে এলাকাবাসীকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ এবং গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নের জন্য গত ২ আগস্ট জেলা প্রশাসক স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। বিজ্ঞপ্তির খবরে এলাকার লোকজন চরম উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত। হঠাৎ করে বাসাবাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দিলে চরম মানবিক বিপর্যয় নেমে আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
গত ১৯ জানুয়ারি সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগে রাষ্ট্র বনাম রাগীব আলীর পুত্র আব্দুল হাইর মামলার রায়ে তারাপুর এলাকায় মেডিকেল কলেজসহ আবাসিক-বাণিজ্যিক স্থাপনা অবৈধ ঘোষণা করে পূর্ববর্তী সেবায়েতকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। সুপ্রিমকোর্টের রায়ের প্রতি এলাকাবাসী শ্রদ্ধাশীল বলে দাবি করে শাহরিয়ার কবির সেলিম বলেন, এলাকার সাধারণ অধিবাসীরা এ মামলার সম্পর্কে কিছুই জানেন না। মামলার কারণ সম্পর্কে অবগত না থাকায় রাষ্ট্র বনাম আব্দুল হাই এর মামলায় উক্ত এলাকার অধিবাসী হিসেবে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোন সুযোগ লাভ করতে পারেননি। তাই উচ্ছেদের বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসী অন্ধকারে ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, অন্যের জালিয়াতির কারণে আজ নিরপরাধ জনগণ চরম বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন। উচ্ছেদ আতঙ্কে এলাকায় চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে। অনেক যুবক-যুবতীর বিয়ের সম্বন্ধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। জাতির শ্রেষ্ট সন্তান অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বসতভিটা এখানে রয়েছে। ভিটেমাটি হারালে সবাই বাস্তহারা হয়ে পথে বসবে। এই ভিটেমাটি ছেড়ে অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। এখানেই পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করতে চান এলাকাবাসী।
তিনি বলেন, তারাপুর মৌজার চা বাগানের ৩২৩ একর ভূমি সেবায়েতকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি রায় বাস্তবায়নের জন্য উচ্ছেদ না করে মানবিক কারণে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ স্থানীয় প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছেন। সেই সাথে বিকল্প ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত মানবিক কারণে গ্যাস-বিদ্যুৎ বিচ্ছন্নের গণবিজ্ঞপ্তি স্থগিত রাখার জন্য জেলা প্রশাসকের প্রতি আবেদন জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা জামাল পাশা, কাউন্সিল ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, সাবেক কাউন্সিলর জগদীশ চন্দ্র দাশ, বিএনবি নেতা ইউপি চেয়ারম্যান শহীদ আহমদ, ফজলুর রহমান ফজলু, করিম উল্লাহ হেলাল, শামসুদ্দিন খান, সেলিম আহমদ সেলিম, নজরুল ইসলাম নজু, সিথিল দেব, অধ্যাপক আবু তাহের, ফখরুল ইসলাম ফারুক, আবুল মনসুর টিপু, সাব্বির খান, মোনায়েম খান ময়নুল, ইউপি সদস্য শফিকুর রহমান, মকবুল হোসেন খান, কাউন্সিলর রেবেকা বেগম রেনু, কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন খান, তুরণ চৌধুরী, আব্দুর রউফ, ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন, দবির খান, মনসুর খান বাদশা, আখতারুজ্জামান আখতার, আব্দুল আজিজ মনু, ইকবাল হোসেন লস্কর, মো. সাহাবুদ্দিন, বাহারুল ইসলাম রিপন, খলিল খান, মাসুদ খান সাজন, শরিফ বক্স, এখলাছ হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ, জিল্লুর রহমান দিলু, শেখ মুসা, আব্দুর রহিম, শহিদুর রহমান মাস্টার, সাফায়েত খান, আজিজ খান সজিব, সৈয়দ মোজাক্কের আলী, আব্দুল মন্নান, আলা উদ্দিন, ডা. শামিম, সেবুল মিয়া, বশির খান লাল, গোলাম কিবরিয়া খান, জায়েদুর রহমান জায়েদ প্রমুখ।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D