অটোমেশনে আসছে ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা

প্রকাশিত: ৬:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

অটোমেশনে আসছে ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা

Manual7 Ad Code

শিগগিরই দেশে ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা অটোমেশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সরকার একটি বৃহৎ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে মাঠপর্যায়ে পরীক্ষামূলকভাবে ১৭টি অফিসে এই সেবা সফলভাবে চালু রয়েছে।

ভূমি রেজিস্ট্রেশন সেবা অটোমেশন বলতে বাংলাদেশে ভূমিসংক্রান্ত সেবাগুলোকে ডিজিটাল ও অনলাইনভিত্তিক করে তোলাকে বোঝানো হয়। এর মাধ্যমে নামজারি, খতিয়ান ও ম্যাপ প্রাপ্তি, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধসহ বিভিন্ন সেবা অনলাইনে গ্রহণ করা যাবে। বর্তমানে land.gov.bd ও eporcha.gov.bd-এর মতো পোর্টালের মাধ্যমে এসব সেবার জন্য আবেদন, ফি পরিশোধ ও আবেদন ট্র্যাকিং করা সম্ভব হচ্ছে। এতে সেবায় স্বচ্ছতা ও দ্রুততা বাড়বে এবং দুর্নীতির সুযোগ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Manual4 Ad Code

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সমন্বিত ভূমি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রাহকদের জন্য ১৭ ধরনের সেবা চালু করা হবে। এ লক্ষ্যে ১ হাজার ১৯৭ কোটি ৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প এবং ১ হাজার ২১২ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিজিটাল জরিপ পরিচালনার সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।

Manual6 Ad Code

ভূমি মন্ত্রণালয় জানায়, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্পের আওতায় ই-মিউটেশন, রিভিউ ও আপিল মামলা ব্যবস্থাপনা, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা ব্যবস্থাপনা, মিউটেটেড খতিয়ান, ডিজিটাল ল্যান্ড রেকর্ড, মৌজা ম্যাপ ডেলিভারি সিস্টেম, মিস মামলা ব্যবস্থাপনা, কৃষি ও অকৃষি খাসজমি ব্যবস্থাপনা, দেওয়ানি মামলা তথ্য ব্যবস্থাপনা, হাটবাজার, জলমহাল, বালুমহাল, চা-বাগান, ভিপি সম্পত্তি ও ভূমি অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনাসহ অভ্যন্তরীণ বাজেট ব্যবস্থাপনার মতো সেবা পাওয়া যাবে। এসব সেবার জন্য একটি সমন্বিত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার তৈরি করা হবে।

Manual3 Ad Code

এছাড়া ‘ল্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিস ফ্রেমওয়ার্ক’ সিস্টেম সফটওয়্যারের মাধ্যমে একই কাঠামোর অধীনে আন্তঃপরিচালনযোগ্য ডাটাবেজ তৈরি করে সরকারের অন্যান্য সেবার সঙ্গে সমন্বয় করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ কোটি ৮ লাখ সুবিধাভোগী অতিরিক্ত খরচ ছাড়াই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য নিবন্ধন করেছেন। ইতোমধ্যে তিন কোটি জমির তথ্য ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে। প্রায় ৭০ শতাংশ নাগরিক স্বচ্ছভাবে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করেছেন এবং অন্তত ৫০ শতাংশ নাগরিকের হয়রানি কমেছে। প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ লাখ টাকা তাৎক্ষণিকভাবে সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

ভূমি ব্যবস্থাপনার অটোমেশন কার্যকর হলে ভূমি রাজস্ব মামলা ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থার উদ্দেশ্য সফল হবে বলে আশা করছে সরকার। এর আওতায় সব অভ্যন্তরীণ মামলা একই প্ল্যাটফর্মে পরিচালনা, অনলাইনে মামলার অবস্থা মনিটরিং ও দেওয়ানি মামলা ব্যবস্থাপনার পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

এছাড়া স্টেশন, বিপণি-বিতান, উপজেলা অফিস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ভূমিসেবা কিয়স্ক স্থাপনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এসব কিয়স্ক থেকে নাগরিকরা নির্ধারিত ফি দিয়ে জমির খতিয়ান ও ম্যাপ প্রিন্ট করতে পারবেন, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারবেন এবং নামজারি আবেদনের সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন।

Manual4 Ad Code


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code