শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো সিলেট জেলা প্রেসক্লাব

প্রকাশিত: ৬:২৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানালো সিলেট জেলা প্রেসক্লাব

Manual7 Ad Code

মুক্তিযুদ্ধের শেষ মুহূর্তে যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বুঝতে পারে, তাদের পরাজয় অনিবার্য, তখন তারা স্বাধীন বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করার লক্ষ্যে চূড়ান্ত আঘাত হানে। পরিকল্পিতভাবে বাংলার মেধাবী সন্তানদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।

Manual1 Ad Code

প্রতিবারের ন্যায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির শ্রেষ্ট সন্তানদের ফুলেল শ্রদ্ধা জানাল সিলেট জেলা প্রেসক্লাব।

Manual3 Ad Code

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর চৌহাট্টাস্থ শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করা হয়।

ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মঈন উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ক্লাবের সিনিয়র সদস্য ও ইউএনবি’র জেলা প্রতিনিধি মোহাম্মদ মহসীন, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রনজিত সিংহ, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র ফটো সাংবাদিক ও ক্লাব সদস্য মামুন হাসান, চ্যানেল ২৪ এর সিলেট করেসপন্ডেন্ট ও ক্লাব সদস্য আজহার উদ্দিন শিমুল, আজকের সিলেট.কম এর সহকারি সম্পাদক ক্লাব সদস্য এসএম মিজানুর রহমান, ক্লাব সদস্য মোজাম্মেল হক এবং ক্লাবের অফিস সহকারি সাদিকুর রহমান প্রমুখ।

Manual4 Ad Code

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার আল-বদর, আল-শামসরা বাংলার জমিনে বর্বর ধ্বংসলীলা চালায়। তারা বাংলার শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের পরিকল্পিতভাবে একে একে ধরে নিয়ে হত্যা করে। কেবল এই তারিখে নয়, ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে বিজয়ের আগমুহূর্ত পর্যন্ত তারা এই হত্যাযজ্ঞ অব্যাহত রাখে। এর আগে মার্চ মাসেও মুক্তিযুদ্ধের সূচনা মুহূর্তেও ঘাতক বাহিনী অনেক বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে।

১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল সিলেট মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. শামসুদ্দিন আহমদকে হত্যা করে। যিনি যুদ্ধ চলাকালে দিবারাত্রি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন। একইভাবে সিলেট মেডিক্যাল কলেজের তদানিন্তন অধ্যক্ষ ও সুপারেনটেনডেন্ট লে. কর্ণেল ডা. জিয়াউর রহমানক, ইন্টার্ণ চিকিৎসক শ্যামল কান্তি লালা এবং অ্যাম্বুলেন্স চালক কোরবান আলীকে হত্যা করে পাক হানাদাররা।

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রহর থেকে বিজয়ের পূর্বমুহূর্ত পর্যন্ত যেসব বরেণ্য বুদ্ধিজীবীকে আমরা হারিয়েছি, তাঁদের মধ্যে আছেন অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র দেব, মুনীর চৌধুরী, জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, রাশীদুল হাসান, ড. আবুল খায়ের, ড. আনোয়ার পাশা, সিরাজুদ্দীন হোসেন, শহীদুল্লা কায়সার, আলতাফ মাহমুদ, নিজামুদ্দীন আহমদ, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. ফজলে রাব্বী, ডা. আলীম চৌধুরী, আ ন ম গোলাম মোস্তফা, সেলিনা পারভীন প্রমুখ।


 

Manual7 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code