ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন, মান নামল সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে

প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৫

ভারতীয় রুপির রেকর্ড দরপতন, মান নামল সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে

Manual1 Ad Code

ঐতিহাসিক দরপতন ঘটেছে ভারতীয় রুপির। মার্কিন ডলারের বিপরীতে ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে ভারতীয় এই মুদ্রার মান।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ডলারের বিপরীতে প্রথমবারের মতো ভারতীয় রুপির বিনিময়মূল্য ৯০ রুপি ছাড়িয়ে গেছে। অর্থাৎ, প্রথমবারের মতো এক ডলার কিনতে গুনতে হচ্ছে ৯০ রুপিরও বেশি। ভারতীয় রুপির বিনিময়দরে ঐতিহাসিক এই ধসে চাপ বেড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারেও। এমনকি বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও ছড়িয়েছে নতুন উদ্বেগ। খবর এনডিটিভির।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সর্বকালের সবচেয়ে দুর্বল অবস্থায় পৌঁছে গেছে ভারতীয় রুপি। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এদিনই ডলারের বিপরীতে ৯০ রুপি পেরিয়ে গেছে মুদ্রাটি। বাজারে লেনদেনের একপর্যায়ে ভারতীয় এই মুদ্রা ডলারের বিপরীতে নেমে যায় ৯০.১৩ রুপিতে, যা আগের দিনের সর্বকালের সর্বনিম্ন ৮৯.৯৪৭৫ রুপির রেকর্ডকেও ভেঙে দেয়।

মূলত, দুর্বল বাণিজ্য প্রবাহ, পোর্টফোলিও বিনিয়োগে ধীরগতি এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে অনিশ্চয়তা— এই সব মিলিয়েই রুপির ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়েছে।

Manual7 Ad Code

এদিকে রুপির এই তীব্র পতনের প্রভাব পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজারেও। রুপির পতনে সতর্ক মনোভাবের কারণে নিফটি সূচক নেমে যায় ২৬ হাজারের নিচে। সেনসেক্সও দিনের শুরুতে প্রায় ২০০ পয়েন্ট পড়ে যায়। দুর্বল মুদ্রা মূল্যস্ফীতি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আচরণ নিয়েও তৈরি হয়েছে নতুন উদ্বেগ।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রুপি কখন স্থিতিশীল হবে কিংবা ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে কী অগ্রগতি হয়— সেদিকেই এখন বাজারের প্রধান নজর। তাদের ভাষায়, ‘ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি বাস্তবায়ন হলে রুপির পতন ঠেকানো যাবে এবং তখন হয়তো কিছুটা ঘুরেও দাঁড়াতে পারে। তবে, ভারতের ওপর কী ধরনের শুল্ক আরোপ করা হবে, মূল প্রভাব ফেলবে সেটাই।’

Manual8 Ad Code

এদিকে বুধবার শেয়ারবাজার দিনের শুরুতে বেশ শান্তভাবেই লেনদেন শুরু করেছে। দুই সূচকেই খুব বেশি নড়াচড়া দেখা যায়নি। সেনসেক্স মাত্র ১২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৮৫ হাজার ১৫১–তে, আর নিফটি ১৮ পয়েন্ট কমে ২৬ হাজার ১৪–তে নেমে যায়।

বিশ্লেষকেরা আরও বলেন, রুপির ধারাবাহিক পতন ও আরও অবমূল্যায়নের আশঙ্কাই এখন বাজারকে আরও নিচের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। কারণ, বিশেষ করে এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরবিআই এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করছে না। আর এই উদ্বেগের কারণেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে যাচ্ছে।

Manual6 Ad Code


 

Manual5 Ad Code

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code