ঈশ্বরগঞ্জে পরিবেশবান্ধব কৃষি নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, মে ২৮, ২০২৫

ঈশ্বরগঞ্জে পরিবেশবান্ধব কৃষি নিয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে পরিবেশবান্ধব কৃষিচর্চা ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষকদের অংশগ্রহণে পার্টনার কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (২৮ মে) উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ হলরুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মূল প্রতিপাদ্য ছিল “বালাই নাশকের অপব্যবহার রোধ করে মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও উন্নত জাতের ধান চাষের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি”।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিপা রাণী চৌহান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খামার বাড়ি ময়মনসিংহের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ড. উম্মে হাবিবা। তিনি বলেন, “মাটির উর্বরতা রক্ষা এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজন ভারসাম্যপূর্ণ বালাই ব্যবস্থাপনা ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতির প্রয়োগ।” তিনি আরও বলেন, “বর্তমান বিশ্বে কৃষি শুধু খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যম নয়, এটি এখন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি উন্নয়ন ক্ষেত্র। টেকসই কৃষির জন্য প্রয়োজন সঠিক প্রশিক্ষণ, উন্নত জাত নির্বাচন, এবং পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ। এই কংগ্রেস কৃষকদের সেই দিকনির্দেশনাই দিচ্ছে।”

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পার্টনার কংগ্রেস প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার সালাহ উদ্দিন কায়সার। তিনি বলেন, “আমরা চাই প্রতিটি কৃষক যেন কৃষির প্রতি আগ্রহী হয়, আর কৃষিকে করে তোলে লাভজনক। এক্ষেত্রে তথ্যভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও সচেতনতা জরুরি। এ লক্ষ্যে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় পার্টনার ফিল্ড স্কুল স্থাপন করা হবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার আব্দুল ওয়াহেদ খান, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ফারজানা আজাদ সুমী, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ, সাইফুল ইসলাম তালুকদার এবং কৃষক প্রতিনিধি মাসুদ মিয়া।

কৃষক প্রতিনিধি মাসুদ মিয়া বলেন, “আমরা এই কংগ্রেস স্কুল থেকে অনেক কিছু শিখব। অতিমাত্রায় বালাই নাশক ব্যবহারের কারণে মাটির যে কি ক্ষতি হতো, তা আজকের আলোচনায় বুঝতে পেরেছি। সঠিক নিয়ম মেনে চলা কতটা জরুরি, তা এখন স্পষ্ট। আমরা আশা করি, এধরনের প্রশিক্ষণমূলক সভা নিয়মিত হলে কৃষি খাতে আরও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”

অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন। কংগ্রেসে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে চাষাবাদ, কম খরচে অধিক ফলন এবং কীটনাশক ব্যবহারের বিকল্প হিসেবে বায়োপেস্টিসাইড ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারী কৃষকরাও তাদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।