‘দেশের যেকোনো সেক্টরের চেয়ে চা শ্রমিকের মজুরি কম

প্রকাশিত: ৭:২২ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২৫

‘দেশের যেকোনো সেক্টরের চেয়ে চা শ্রমিকের মজুরি কম

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নারী চা শ্রমিকদের নিয়ে গঠিত ‘ওমেন্স নেটওয়ার্ক হিলুয়াছড়া, কেওয়াছড়া এবং দলদলি চা বাগান’ এর উদ্যোগে র‌্যালি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল ১১টায় দলদলি চা বাগানের খেলার মাঠ থেকে শুরু করে প্রধান গেইট যায় র‌্যালিটি। পরে আবার খেলার মাঠে এসে র‌্যালি শেষ করে আলোচনায় সভায় মিলিত হন চা শ্রমিকরা।

সভায় চা শ্রমিকরা তাদের অধিকার নিয়ে কথা বলেন। এসময় চা শ্রমিক গীতা মুন্ডা বলেন, আমরা কাজ করি দেশের যে কোনো শ্রমিকের তুলনায় সবচেয়ে কম মজুরিতে। কিন্তু সপ্তাহ শেষে এই অল্প মজুরিটাও ঠিকঠাক পাই না। শ্রমিক দিবসে আমাদের দাবি আমাদের সকল অধিকার যেন ঠিকঠাক নিশ্চিত করা হয়।
চা শ্রমিক চিন্তা মনি দাস বলেন, আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। বর্ষা এসেছে অথচ এখনও তা মেরামত করার কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নাই। চা শ্রমিকদের মজুরি যেমন কম দেওয়া হয় তেমনি থাকার জায়গা, খাবার , চিকিৎসাও কম দেওয়া হয়।
হিলুয়াছড়া, কেওয়াছড়া এবং দলদলি চা বাগানের নারী শ্রমিকদের সংগঠিত করে এই ‘ওমেন্স নেটওয়ার্ক’ তৈরি করে দিয়েছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এথনিক কমিউনিটি ডেভলাপমেন্ট ওরগানাইজেশান(একডো)। নারী চা শ্রমিকদের বিভিন্ন লিডারশিপ ট্রেনিং করিয়ে তারা এভাবে সংগঠিত করেছেন এবং নিজেদের অধিকার সম্পর্কে কথা বলার জন্য জাগ্রত করেছেন। আজকের এই মে দিবসের আয়োজনটিও চা শ্রমিক নারীরা নিজেদের উদ্যোগে করেছেন।
আলোচনা সভায় একডোর প্রকল্প সমন্বয়কারী মোমতাহিনুর চৌধুরী বলেন, চা বাগানের মধ্যে নারী শ্রমিকদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উদযাপন আমাদের জন্য একটি বড় সাফল্য। আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা অক্সফ্যাম ইন বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহযোগিতায় জুলাই ২০২৪ ইংরেজি থেকে আমরা দলদলি,হিলুয়াছড়া এবং কেওয়াছড়া চা বাগানে নারী নেতৃত্ব গড়ে তুলার লক্ষ্যে “Leadership Development of Tea Garden Women Worker on Their Rights” প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ইভেন্টের মাধ্যমে তাদেরকে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন ও সোচ্চার হতে উৎসাহী করে যাচ্ছি। আজ তারা তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন এবং তারা তাদের অধিকারের জন্য আওয়াজ তুলছেন। আমরা মনে করি আমাদের এই প্রকল্পের জন্য বড় একটি অর্জন।


এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট