সিলেটে আলোচিত দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২৫

সিলেটে আলোচিত দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে

সিলেটে সাক্ষী না আসায় আলোচিত দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছ। মামলাগুলো হচ্ছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলা। সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৩০ এপ্রিল।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরের দিকে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ দুই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।

কিন্তু সাক্ষী না থাকায় বিচারক স্বপন কুমার সরকার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করেন। তবে গত ৮ এপ্রিল দুই মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছিল।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. আবুল হোসেন জানিয়েছেন, বহুল আলোচিত এ দুই মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য দেয়ার কথা। কিন্তু তাদের সবাই অনুপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, জামিনে থাকা আসামি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও অনুুপস্থিত ছিলেন। তিনি সময় চেয়েছেন।

অন্যাণ্য আসামির মধ্যে কারাগারে থাকা এবং জামিনে থাকা সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র জিকে গৌছসহ মোট ১২ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে একটি জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় গুরুতর আহত হন শাহ এ এম এস কিবরিয়া। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। ওই হামলায় তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। এছাড়াও আহত হন আরও অন্তত ৭০ জন। ঘটনার পরদিন হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা হয়।

অপরদিকে ২০০৪ সালের ২১ জুন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাইবাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনা ঘটে। এতে যুবলীগের এক কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত ও ২৯ জন আহত হন। এ ঘটনায় দিরাই থানার এসআই হেলাল উদ্দিন অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। মামলার সাক্ষী ১২৩ জন। এরমধ্যে ৫২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট