কক্সবাজারে থেকেও সিলেটে মামলার আসামী সাংবাদিক রেজা রুবেল

প্রকাশিত: ৭:৫০ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ১৫, ২০২৫

কক্সবাজারে থেকেও সিলেটে মামলার আসামী সাংবাদিক রেজা রুবেল

সিলেটে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব আজিজুল হোসেন আজিজসহ নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনার মামলায় সাংবাদিক রেজা রুবেলকে আসামী করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সিলেটের সাংবাদিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে তুলপাড়।

রেজা রুবেল সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক। এছাড়াও সিলেটের জনপ্রিয় আঞ্চলিক পত্রিকা দৈনিক শ্যামল সিলেট ও এশিয়ান টেলিভিশনের সিলেটের ক্যামেরা পার্সন।

রোববার (১৩ এপ্রিল) ৪৮ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫০ জনের বিরুদ্ধে এসএমপির কোতোয়ালি মডেল থানায় এই মামলা হয়। মামলার বাদী ঘটনায় আহত বারুতখানার উত্তরণ-৬৪ নং বাসার মো. আলী নেওয়াজ খানের ছেলে আলী আরশাদ খান।

মামলার এজাহারে সাংবাদিক রেজা রুবেলকে যুবলীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে ৭নং আসামী করা হয়েছে। উল্লেখ করা হয়েছে ঘটনাস্থলের হামলায় রেজা রুবেল উপস্থিত ছিলেন। অথচ ঘটনার ৪ দিন আগে থেকেই সাংবাদিক রেজা রুবেল সিলেটের বাইরে কক্সবাজারে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে ছিলেন। এবং ঘটনার পরের দিন তিনি সিলেটে আসেন। কক্সবাজারে অবস্থানকালে রেজা রুবেল তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডি থেকে অনেক লাইভ, ভিডিও এবং ফটোও আপলোড করেন।

একটি সূত্র জানিয়েছে, ব্যক্তি বিশেষ নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য এই মামলায় রেজা রুবেলকে জড়িয়েছেন। এ কারণে বিতর্কিত হতে পারেন সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা। তাছাড়াও মামলায় আসতে পারে ধীরগতি।

এ বিষয়ে সাংবাদিক রেজা রুবেল বলেন, বিষয়টি দুঃখজনক। ঘটনার ৪ দিন আগে থেকেই আমি সিলেটের বাহিরে কক্সবাজারে বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গিয়ে ছিলাম। এবং ঘটনার পরের দিন আমি সিলেটে আসি। কক্সবাজারে অবস্থান কালে আমি আমার ফেসবুক আইডি থেকে অনেক লাইভ, ভিডিও এবং ফটোও আপলোড করি। আমি যে হোটেলে ছিলাম, যে বাসে ফিরেছি তারও ডকুমেন্ট রয়েছে। এছাড়াও আইন প্রয়োগকারি সংস্থা এখন অনেক উন্নত। আমার মুঠোফোন ট্রাক করলেই ঘটনার সময়ে আমার অবস্থান সম্পর্কে তারা জানতে পারবেন। বিষয়টি জানার পর আমি আমার প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে অবগত করেছি। গেলো বছর আমার বাবা মারা গেছেন, বর্তমানে আমার মাও অসুস্থ। মামলার বিষয়টি শুনে আমার পরিবারও আতঙ্কের মাঝে আছেন। তবে প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ জানাই, প্রশাসন থেকে আমাকে এখন পর্যন্ত কোনো হয়রানী করা হয়নি। অহেতুক আমাকে মামলায় জড়ানোর জন্য আমি এসএমপির কমিশনার বরাবর বিচারের জন্য আবেদন জানাবো। কক্সবাজারে অবস্থানের আমার সব ডকুমেন্টস প্রশাসনের কাছে আমি পাঠাবো। ব্যক্তি বিশেষ নিজেদের ফায়দা হাসিলের জন্য কে বা কারা আমায় এই মামলায় জড়িয়েছেন।

বিষয়টি জানতে মামলার বাদি আলী আরশাদ খানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা ব্যস্ত দেখায়।

সাংবাদিককে জড়ানোর বিষয়টি জানেন না কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, বিষয়টির সুষ্ঠ তদন্ত হবে। প্রকৃত আসামী ছাড়া কাউকেই হয়রানী করবে না পুলিশ।

এ ঘটনায় সিসিকের ২২, ২৩, ২৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর শারমিন আক্তার রুমির (মামলার অন্যতম আসামী) স্বামী ২৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মঞ্জু আহমেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট