গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৮, ২০২৫

গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

গাজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোট, বাংলাদেশ জাসদ, সাম্যবাদী আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বাংলাদেশ জাসদ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি এডভোকেট জাকির আহমদ এর সভাপতিত্বে ও বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য সিপিবি জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন,বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, সাম্যবাদী আন্দোলনের সমন্বয়ক এডভোকেট মহীতোষ দেব মলয়,বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সমন্বয়ক সঞ্জয় কান্ত দাশ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের ডাঃ হরিধন দাশ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সামছুল বাসিত শেরো। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান,বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন,বাসদ জেলা সাবেক আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, চা শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের হৃদেশ মোদি, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আহ্বায়ক নাজিকুল ইসলাম রানা, উদীচীর নেতা রতন দেব,চা শ্রমিক ফেডারেশনের অজিত রায়, ছাত্র নেতা মনীষা ওয়াহিদ, পিনাক রঞ্জন দাস, বিশ্বজিৎ শীল,সারফরাজ সারোয়ার প্রমূখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,মধ্যপ্রাচ্যে আধিপত্য বিস্তার এবং তেল সম্পদের উপর দখলদারিত্বের প্রয়োজনে ১৯৪৮ সালে ‘ইসরায়েল’ নামক একটি কৃত্রিম জায়নবাদী সামরিক রাষ্ট্রের সৃষ্টি করেন সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠী। ৭ হাজার কিলোমিটার দিয়ে শুরু হলেও ক্রমাগত ফিলিস্তিনের জায়গা দখল করে বর্তমানে ২২ হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত হয়েছে এই কৃত্রিম রাষ্ট্রটি। ইতিমধ্যেই গাজার অর্ধেক ভ‚মি দখল করে নিয়েছে ইসরাইল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সাম্রাজ্যবাদী দুনিয়া অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে এটিকে দানবীয় করে তুলেছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লক্ষ ১৫ হাজার আহত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি নারী ও শিশু। জাতিসংঘের তথ্য মতে গাজায় ইতিমধ্যে প্রায় ৬৯ শতাংশ ভবন ধ্বংশ বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজা থেকে ২২ লক্ষ বাসিন্দা সরে গিয়ে ঐ অঞ্চল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছেড়ে দিতে বলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা ও পশ্চিম তীরে বিলাসবহুল রিসোর্টসহ পর্যটন কেন্দ্র তৈরির ঘোষণা দিয়েছে।

বক্তারা বলেন, এটি মুসলমান বনাম ইহুদির যুদ্ধ নয়, এটি মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের নেতৃত্বে ও ইসরাইলি জায়েনবাদের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের স্বাধীনতার লড়াই। গণহত্যাকারী নেতানিয়াহু ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে খোদ ইসরায়েলে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে। ইসরায়েলের কমিউনিস্ট পার্টিসহ বিভিন্ন গনতান্ত্রিক শক্তি ও ব্যক্তি ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদ করছে। একদিকে ধর্ম-বর্ণ, দেশ নির্বিশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বব্যাপী গণহত্যার প্রতিবাদ হচ্ছে, অন্যদিকে মার্কিন সা¤্রাজ্যবাদের তাবেদার সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত দেশগুলো কথিত মুসলিম উম্মা ও ভ্রাতৃত্বের কথা বলে নির্বিকার রয়েছে শুধু নয় মিসর, জর্ডান, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কতিপয় মুসলিম দেশ জায়নবাদী ইসরাইল রাষ্ট্রের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে। এটি অত্যন্ত লজ্জাজনক।

বক্তারা গতকাল প্যালেস্টাইনের সাথে সংহতি জানানোর মিছিল থেকে সিলেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হামলা-লুটপাটের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ সরকারকে ইসরায়েলের সাথে সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক বাতিল করা ও আন্তর্জাতিক সকল ফোরামে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এবং মদদ দাতা মার্কিনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় আহবন জানান।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট