তিন দফা দাবিতে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম শাবি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২৪

তিন দফা দাবিতে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম শাবি শিক্ষার্থীদের

অতিরিক্ত ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি বাতিলসহ সকল ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে ৭২ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে মানববন্ধনে করেন তারা।

শাবিপ্রবির সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আজাদ শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আসাদুল্লাহ আল গালিব, সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী মুজাহিদ ইমন, মুহাম্মদ আলী, মুরাদ মিয়া, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের মাহবুবুল হাসান পবন ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ফয়সাল হোসেন প্রমুখ।

এসময় আজাদ শিকদার বলেন, ‘আমরা সবাই জানি ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি ছিল ৮ হাজার ১০০ টাকা। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি ফি বাড়িয়ে ১৮ হাজার টাকা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি ফি’র পাশাপাশি কয়েকগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে সেমিস্টার ফি ও ক্রেডিট ফি। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত তত্ত্বীয় প্রতি ক্রেডিটের মূল্য ছিল ১০৫ টাকা। ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে প্রতি তত্ত্বীয় ক্রেডিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪০ টাকা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক প্রতি ক্রেডিটের মূল্য ছিল ১৬০ টাকা। সেটি যথাক্রমে বৃদ্ধি করে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এটি সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে শিক্ষার্থীদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে।

আসাদুল্লাহ আল গালিব বলেন, ‘আমরা অনেক রক্তের বিনিময়ে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি, স্বাধীনতা পরবর্তী প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা করেছিলাম তারা শিক্ষার্থীবান্ধব হয়ে উঠবে। কিন্তু আমরা বারবার শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবি নিয়ে গেলেও এই প্রশাসন ভ্রুক্ষেপ করছেনা। তারা শিক্ষার্থীদের উপর আগের প্রশাসনের চাপিয়ে দেওয়া পদ্ধতিগুলো এখনো বাতিল করেনি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস শিক্ষার্থীরা হতে পারে না উল্লেখ করে এই শিক্ষাথী আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বারবার বলেছি পূর্ববর্তী প্রশাসন শিক্ষার্থীদের উপর অযৌক্তিকভাবে ভর্তি, ক্রেডিট ও সেমিস্টার ফি চাপিয়ে দিয়েছিল। যা শিক্ষার্থীদের উপর জুলুম করে অর্থ নেওয়ার মতো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস শিক্ষার্থীরা হতে পারে না উল্লেখ করে এই শিক্ষাথী আরও বলেন, ‘আমরা প্রশাসনকে বারবার বলেছি পূর্ববর্তী প্রশাসন শিক্ষার্থীদের উপর অযৌক্তিকভাবে ভর্তি, ক্রেডিট ও সেমিস্টার ফি চাপিয়ে দিয়েছিল। যা শিক্ষার্থীদের উপর জুলুম করে অর্থ নেওয়ার মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের উৎস বিশ্ববিদ্যালয় বের করবে কিন্তু আমরা দেখতে পাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এদিকে নজর না দিয়ে আয়ের উৎস হিসেবে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করছে। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই অযৌক্তিক ফি বাতিল করে শিক্ষার্থীবান্ধব ফি নিশ্চিত করুন।’

মাহবুবুল হাসান পবন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে পোষ্য কোটায় অতিরিক্ত সুযোগ দেওয়ার কোনো অর্থ দেখিনা। এতে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হন। শাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলসহ বিভাগীয় পর্যায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানায়। আমরা আশাকরি প্রশাসনের সঠিক সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবে।’

মানববন্ধন শেষে তাদের তিন দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবি সমূহ হলো- যৌক্তিকভাবে ভর্তি, সেমিস্টার ও ক্রেডিট ফি কমিয়ে শিক্ষার্থীদের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে, পোষ্য কোটাসহ সকল ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করতে হবে ও আগামী ২ সেমিস্টার ৪ মাস করে শেষ করা। ৭২ ঘন্টার মধ্যে দাবি সমূহ কার্যকর না হলে কঠোর কর্মসূচি দিবেন বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট