সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০১৮

সিইসির সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

Manual1 Ad Code

আসন্ন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল।

রবিবার বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে সিইসির সভাকক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়েছে।

এই বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধিদলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। সঙ্গে আছেন ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান ও যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

Manual2 Ad Code

বৈঠকে সিইসি কে এম নুরুল হুদাসহ আরো চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত আছেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদও উপস্থিত আছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান বলেন, ‘খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কেমন হবে না হবে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব কী হবে, সেসব জানতে এই বৈঠকে বসেছে বিএনপির প্রতিনিধিদল। এ ছাড়া বিএনপির নেতাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানানো হবে এই বৈঠকে।’

এর আগেও বেশ কয়েকবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। সেসব বৈঠকে নিজেদের অভিযোগ ও দাবিগুলো কমিশনকে জানায় তারা। সেসব দাবির উল্লেখযোগ্য ছিল, ভোটের আগে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারকে প্রত্যাহার ও সুষ্ঠু ভোটের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন। যদিও বিএনপির প্রধান দুই দাবি নাকচ করে দিয়েছে কমিশন।

‘একটু অপেক্ষা করেন, মাস তিনেক ধৈর্য ধরেন’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, ‘এখন সময় এসেছে প্রতিবাদ জানানোর। এই প্রতিবাদ শুধু মানববন্ধন ও সেমিনারে সীমাবদ্ধ রাখলে হবে না। এখন ভয়ভীতি ও শঙ্কাকে উপেক্ষা করে প্রতিবাদ এবং প্রতিরোধের নতুন পথ খুঁজে বের করতে হবে। সেটাও হবে। আর একটু অপেক্ষা করেন। আর মাস তিনেক ধৈর্য ধরেন। আওয়ামী লীগ শক্তিশালী আছে র‌্যাব, পুলিশ ও বিজিবির জন্য, সরকারের প্রশাসন ও তাদের ক্ষমতার জন্য। কিন্তু এটা ক্ষীণ হয়ে আসবে। আর জনগণের গণজোয়ার দেখে তখন এই প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবি আস্তে আস্তে সরে পড়বে। আমরা খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে ভোট করে জয়লাভ করব। কারণ দেশের মানুষ এখন অপেক্ষায় আছে শুধু নির্বাচনের সুযোগের।’

রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ১৫ মে অনুষ্ঠিতব্য খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো অনিয়ম বা কারচুপি হলে সেই নির্বাচন বিএনপি প্রত্যাখ্যান করবে বলেও জানান দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মুক্তির দাবিতে শফিউল বারী বাবু মুক্তি পরিষদ ওই সভার আয়োজন করে।

খুলনা সিটি নির্বাচন প্রসঙ্গে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘খুলনা নির্বাচনে যদি কোনো রকমের অনিয়ম হয় এবং কেন্দ্র দখল করে যদি ভোট চুরি ও ডাকাতি করে নির্বাচন সম্পন্ন করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচনকে আমরা (বিএনপি) প্রত্যাখ্যান করব। সেই নির্বাচনের বিরুদ্ধেও আমরা আন্দোলন করব। আর খুলনার ভোটাররাও একটি সক্রিয় কর্মসূচি গ্রহণ করবে।’

Manual1 Ad Code

গাজীপুরের চাইতে খুলনা সিটি নির্বাচনে আরো বেশি জোয়ার উঠেছে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে। ঢাকা এবং বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সাদা পোশাকে এজেন্টদের পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রদখল করে ব্যালট ব্যাক্সে ভুয়া ব্যালট পেপার ঢুকানোর জন্য। কারচুপি করবে, কেন্দ্র দখল করবে এবং বিএনপির এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে আসতে দেবে না। তাই ভয়-ভীতি দেখিয়ে গত তিনদিন তাদের বাড়িতে থাকতে দেয়নি।’

মওদুদ আহমদ বলেন, ‘গাজীপুরে যে গণজোয়ার এই গণজোয়ার আগামী সাধারণ নির্বাচনেও আসবে। আর আওয়ামী লীগ সেই গণজোয়ারে ভেসে যাবে। কেউ রক্ষা করতে পারবে না।’

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘স্যাটেলাইট মহাকাশে পরিভ্রমণ করবে। এতে আমরা গর্বিত। কিন্তু আমরা জানতে চাই, এই প্রকল্পে কত অর্থ অপচয় ও দুর্নীতি হয়েছে? আমাদের দাবি হবে, সরকারকে জানাতে হবে যে, এই প্রকল্পে কত টাকা খরচ হয়েছে। এবং কীভাবে খরচ হয়েছে। কাদের মাধ্যমে খরচ হয়েছে। কাদেরকে এই চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। কত টাকায় চুক্তি দেওয়া হয়েছিল। এবং পরিপূর্ণ মনিটরিং করার জন্য যে তত্ত্বাবধায়ন করা প্রয়োজন, সেটা করা হয়েছে কি না? এগুলো দেশের মানুষ জানার অধিকার রাখে বলে আমি মনে করি।’

Manual8 Ad Code

শফিউল বারী বাবু মুক্তি পরিষদের আহ্বায়ক মুহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

Manual1 Ad Code

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code