বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৮, ২০২৫

বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

সিলেটের বিশ্বনাথে মাদ্রাসা ছাত্রী (১৭) কে জোরপূর্বক অপহরণ করে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে এক ক্বারীয়ানা শিক্ষককে গ্রেফতর করেছে থানা পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্ধারুকা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক ও ক্বারীয়ানা শিক্ষক ক্বারী সেলিম মিয়া (৪২)কে গ্রেফতার করে পুলিশ।

তিন সন্তানের জনক ধর্ষক সেলিম ওসমানীনগর উপজেলার সৈয়দ মান্দারুকা গ্রামের মৃত শুকুর আলীর পুত্র।

ধর্ষক ও ক্বারীয়ানা শিক্ষক ক্বারী সেলিম মিয়া (৪২)কে গ্রেফতরের পূর্বে ধর্ষিতা মাদ্রাসা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে তাকে (সেলিম) একমাত্র অভিযুক্ত করে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে’ বিশ্বনাথ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৬ (তাং ১৮.০৪.২৫ইং)। এছাড়া সিএনজি চালককে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিতা সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মান্দারুকা গ্রামের এক হত-দরিদ্র পরিবারের কন্যা ও স্থানীয় এক মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী। রমজান মাসে স্থানীয় মসজিদে ক্বারীয়ানা কোর্সে ভর্তি হয় সে। তখন সেখানে শিক্ষক হিসেবে গ্রেফতারকৃত সেলিম মিয়া কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেই বাদীর কন্যার উপর গ্রেফতারকৃত সেলিম মিয়ার কু-দৃষ্টি পড়ে। এরপর থেকে মাদ্রাসায় আসা-যাওয়াকালে ধর্ষক সেলিম মিয়া বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিকবার কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছেন। এতে মাদ্রাসা ছাত্রী রাজি না হওয়ায় বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে মাদ্রাসায় যাওয়ার পথিমধ্যে জোরপূর্বক সিএনজি চালিত অটোরিক্সা যোগে মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে অজ্ঞাতনামা স্থানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে একাধিক বার ধর্ষণ করে গ্রেফতরকৃত ক্বারীয়ানা শিক্ষক সেলিম মিয়া। আবার একই দিন বিকেল ৫টার দিকে অজ্ঞাতানামা সিএনজি চালিত অটোরিক্সায় করে এনে বাদীর বাড়ির সামনে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ফেলে রেখে যায়।

এদিকে একটি সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রেফতারকৃত ধর্ষক ও ক্বারীয়ানা শিক্ষক ক্বারী সেলিম মিয়া ধর্ষিতার এক চাচাত ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি টাকা-পয়সা লেনদেনের মাধ্যমে আপোষ-মিমাংশায় শেষ করতে চান। কিন্তু ধর্ষিতার চাচাত ভাই ধর্ষক সেলিমের সেই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে বিষয়টি এলাকার স্থানীয় এক মুরব্বীকে অবহিত করেন। এরপর এব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের ও ধর্ষক ও ক্বারীয়ানা শিক্ষক ক্বারী সেলিম মিয়াকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পরই পুলিশ মামলার প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া ভিকটিমকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট