১৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২৫
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, বিশেষ করে সুনামগঞ্জ জেলার হাওর এলাকায় পাকা বোরো ধান চাষিরা আগাম বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সুরমা, কুশিয়ারা, ভৈরব-কুলাউড়া ও মেঘনা-বাউলাই নদী অববাহিকায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়ছে। এতে করে আগামী সাত দিনের মধ্যে নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা হাওরাঞ্চলের বোরো ধানের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইমদাদুল হক এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে হাওরাঞ্চলের কৃষকদেরকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে জমির পাকা বোরো ধান কর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে সুনামগঞ্জ জেলার ১২টি উপজেলার ১৩৭টি ছোট-বড় হাওরে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ২ লাখ ২৩ হাজার ৪১০ হেক্টর জমিতে। তবে বাস্তবে চাষ হয়েছে তার চেয়েও বেশি—২ লাখ ২৩ হাজার ৫০২ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১৩ লাখ ৯৬ হাজার ৮০ টন ধান, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ৫ হাজার ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মোস্তফা ইকবাল আজাদ বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ৮.১ শতাংশ জমির ধান কর্তন শেষ হয়েছে। ১৬০টি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন, ১৫ রিপার ও ৭৩ হাজার শ্রমিক হাওরে ধান কর্তনে কাজ করছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এই বিপুল পরিমাণ ধান কৃষকের গোলায় উঠবে। তিনি আরও জানান, ধান কর্তন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে কৃষি বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে ধান কর্তনে সহায়তার জন্য একাধিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পর্যাপ্ত শ্রমিক ও যন্ত্রচালিত হারভেস্টার সংগ্রহ, ধান কর্তনে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লজিস্টিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ, মাইকিংয়ের মাধ্যমে সচেতনতা সৃষ্টি এবং কৃষি বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় সাধন।
ধান কর্তনের পর তা সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় পলিথিন বা ত্রিপল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, বৃষ্টিপাত ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির বর্তমান পূর্বাভাসের ভিত্তিতে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিগত বছরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এপ্রিলের শেষ ভাগে আগাম বন্যায় হাওরের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুবার। এবারের আশঙ্কা ঘিরে কৃষকদের মধ্যে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে, তবে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো মাঠে সক্রিয় রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D