অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ফের আন্দোলনের হুমকি

প্রকাশিত: ১১:৪৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১২, ২০১৮

অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ফের আন্দোলনের হুমকি

Manual6 Ad Code

জাতীয় সংসদে চাকরিতে কোটা বাতিলের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণার পর কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন করা সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতারা প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। তবে অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে ফের আন্দোলনের হুমকিও দিয়েছেন তারা।

Manual1 Ad Code

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন কমিটির নেতারা।

সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ছাত্রসমাজের কথা বিবেচনা করে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন স্থগিত থাকবে।’

আহত ছাত্রদের সুচিকিৎসার জন্য আহ্বান জানান হাসান আল মামুন। এ ছাড়া কাউকে যেন হয়রানি না করা হয়, সেদিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর কমিটির ৩ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক কয়েকটি দাবি পড়ে শোনান। এর মধ্যে আছে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘গেজেট’ আকারে প্রকাশ করে এর দ্রুত বাস্তবায়ন, গ্রেপ্তার হওয়া আন্দোলনকারীদের নিঃশর্ত মুক্তি, আন্দোলনে ‘পুলিশি নির্যাতনে’ আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন, পুলিশ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ৫টি মামলা প্রত্যাহার। এ ঘোষণায় বলা হয়, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ও নেতাদের পরবর্তী সময়ে কোনো রকম হয়রানি করা হলে আবার আন্দোলন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলন শেষে আন্দোলনকারীরা আনন্দ মিছিল বের করেন।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান আন্দোলন স্থগিতের কথা জানান।

রাশেদ খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে সকাল ১০টার পর।’

বুধবার বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন।

Manual3 Ad Code

কোটা সংস্কারের দাবিতে গত রোববার থেকে বড় আকারে আন্দোলন শুরু হয়। গতকাল বুধবার শাহবাগ এবং ঢাকার অন্যত্র সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে সরব হন। দেশের নানা জায়গায় সড়ক অবরোধ হয় এ দাবিতে। ঢাকায় আন্দোলনকারীরা কোটা সংস্কারে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা দাবি করেন। দুপুর ১২টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তারা দেখা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সব ধরনের কোটা বাতিলের কথা বলেছেন।

Manual3 Ad Code

বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ইউনিভার্সিটিগুলোতে ক্লাস বন্ধ। পড়াশোনা বন্ধ। এরপর আবার ভিসির বাড়ি আক্রমণ। রাস্তাঘাটে যানজট। মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষের কষ্ট। সাধারণ মানুষ বারবার কষ্ট পাবে কেন? এই বারবার কষ্ট বন্ধ করার জন্য, আর বারবার এই আন্দোলনের ঝামেলা মেটাবার জন্য কোটাপদ্ধতি বাতিল। পরিষ্কার কথা। আমি এটাই মনে করি, সেটা হলো বাতিল।’

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধীসহ অনগ্রসর শ্রেণির মানুষের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করার ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটাপদ্ধতিরই দরকার নেই। যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী, তাদের অন্যভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পারব। এই আন্দোলন যারা করেছে, যথেষ্ট হয়েছে, এখন তারা ক্লাসে ফিরে যাক।

Manual5 Ad Code

Manual1 Ad Code
Manual5 Ad Code