৯ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৮, ২০২৩
প্রবেশপত্র না পাওয়ায় সিলেটে দুই প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। শিক্ষার্থীরা বলছে, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ জন। সিলেট সরকারি কলেজ ও ক্লাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পরীক্ষা দেওয়ার দাবিতে বুধবার (১৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে এসব শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নামে। কলেজ ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা আন্দোলন করে। তাদের অভিযোগ, কলেজ কর্তৃপক্ষ প্রবেশপত্র দেননি। খবর পেয়ে পুরিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় অধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ফাহিম আহমদসহ আরো কয়েকজন অভিযোগ করেন, ক্লাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল তাদের পরীক্ষায় অংশ নিতে প্রবেশপত্র দেননি। কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে টাকা চাওয়ার অভিযোগ তুলেন তারা। আর এ কারণে অন্তত কলেজের ১২ জন পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র পাননি। কিন্তু স্কলার্সহোম কলেজ থেকে ফেল করে টিসি নেওয়া ছাত্রদের এই কলেজে ভর্তি করিয়ে পরীক্ষা দেওয়ানো হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ক্লাসিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল অধ্যক্ষ লাবিবুর রহমান বলেন, কলেজের ১০/১২ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন ক্লাসে অনিয়মিত ছিল। সারা বছর তারা ক্লাস করেনি। অনেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে খাতায় প্রশ্ন তুলে দিয়ে যায়। এরপরও তাদের মডেল টেস্ট নিয়েছি। সেখানেও তারা ফেল করেছে। এ অবস্থায় ৬/৭ বিষয়ে ফেল শিক্ষার্থীদের কীভাবে পরীক্ষা দিতে দেব? টাকা নিয়ে প্রবেশপত্র দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, একটি অভিযোগও প্রমাণ করতে পারবে না। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকালে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ছাত্রনেতা আমার সঙ্গে বসেছিলেন। তিনিও দেখেছেন, দোষটা আসলে কার। এরপরও বলেছি, তারা আবারও প্রস্তুতি নিলে নতুনদের সঙ্গে নয়, অনিয়মিত হিসেবে তাদের পৃথক ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে।
এদিকে, সিলেট সরকারী কলেজের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে বুধবার (১৬ আগস্ট) সিলেট বোর্ডে গিয়ে প্রবেশপত্রের জন্য ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায়। পরীক্ষার সময়ে এসে তারা জানতে পরে যে, একাদশে তাদের ভর্তি কার্যকর হয়নি। এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে ফয়েজ নামে একজন বলেন, তিনি সিলেট সরকারি কলেজে সাদিক নামে এক কর্মচারির মাধ্যমে এইচএসসিতে ম্যানুয়ালি ভর্তি হয়েছিলেন। ১ম বর্ষের পরীক্ষাও দিতে পেরেছেন। কিন্তু ফাইনাল পরীক্ষায় এসে দেখতে পান তাদের ভর্তি কার্যকর হয়নি। এ কারণে বোর্ড থেকে পরীক্ষার প্রবেশপত্র ইস্যু হয়নি। একই অবস্থা তাদের কলেজের অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীর। এ অবস্থায় তারা বোর্ডের শরণাপন্ন হয়েছেন।
এ বিষয়ে সিলেট সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর এ জেড এম মাইনুল হোসাইন বলেন, প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষা দিতে না পারার কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। এখন সব অনলাইনে ভর্তি। কেউ অন্যভাবে প্রভাবিত হয়ে প্রতারিত হলে এর দায় কলেজ কর্তৃপক্ষের নয়।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D