প্রশাসনেও আসছে শুদ্ধি অভিযান, অসাধুরা আতঙ্কে

প্রকাশিত: ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৯

প্রশাসনেও আসছে শুদ্ধি অভিযান, অসাধুরা আতঙ্কে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশজুড়ে চলছে শুদ্ধি অভিযান। এ অভিযানে টেন্ডারবাজি, জুয়া, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতা ধরা পড়ছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান এ অভিযান আরও বিস্তৃত করা হচ্ছে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে।

সূত্র বলছে, শেখ হাসিনা সরকার এবার জনপ্রশাসনেও শুদ্ধি অভিযান চালাবে। এমন অভিযানের কথা শোনে প্রশাসনের নানা পর্যায়ের অসাধু কর্মকর্তারা আতঙ্ক নিয়ে কাজ করছেন।

এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘এখন সমাজের অসঙ্গতি দূর করব। একে একে সব ধরব, আমি করবই। জানি এগুলো কঠিন কাজ, কিন্তু করবই। এ কাজ করতে গিয়ে বহু বাধা আসবে, এরপরও আমি করব।’

গত ১৮ সেপ্টেম্বর অবৈধ জুয়া পরিচালনার অভিযোগে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। একইসঙ্গে খালেদের মালিকানাধীন ফকিরাপুল ইয়ংমেনস ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থসহ ১৪২ জনকে আটক করা হয়। ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ক্লাবে অভিযান চালিয়ে এর সভাপতি ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শফিকুল আলম ফিরোজসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

একই দিন জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। অভিযানে ১ কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার ওপরে এফডিআর চেক উদ্ধার করা হয়।

জি কে শামীম প্রশাসনের ঊর্ধ্বতনদের যোগসাজশে সরকারের বিভিন্ন বড় বড় কাজের টেন্ডার পেয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হচ্ছে। অভিযুক্তদের খুঁজতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে, চিন্তা-ভাবা করা হচ্ছে। আমাদের নির্বাহী ইশতেহার আছে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। সে হিসেবেই বিষয়টি দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে সময় নেওয়া হয়েছে, সবগুলো দেখব।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট