২৬শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৭ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০১৮
অতিসত্বর হাওরে বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে বজ্রনিরোধক দন্ড অথবা টাওয়ার নির্মাণ, গভীর হাওরে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ, হাওরে প্রচুর পরিমাণে তাল গাছ রোপণ, বজ্রপাতে মৃত্যু বাড়ার কারণ ও প্রতিকারে গবেষণা করা ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের পরিমাণ ১০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করার দাবিতে মঙ্গলবার বিকাল চারটায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক মানববন্ধনের আয়োজন করেছে পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থা।
মানববন্ধনে সিলেটে বসবাসরত হাওরাঞ্চলের জনগন্সহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যোগ দেন। মানববন্ধন চলাকালে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কাসমির রেজার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক পিযুষ পুরকায়স্থ টিটু’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন। সুজন, সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, ওয়ার্কার্স পার্টির সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক কমরেড সিকন্দর আলী, বিশিষ্ট সাংবাদিক আল আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি মিশফাক আআহমদ মিশু, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর সভাপতি আশরাফুল কবির, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এর সিলেট জেলার সভাপতি আব্দুল করিম কীম, ময়মনসিংহ সমিতি- সিলেটের সাধারণ সম্পাদক তৌফিকুল আলম বাবলু, ধর্মপাশার সুখাইর রাজাপুর (দ:) ইউপি চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী, কলামিস্ট গোলাম সরোয়ার, কবি আবিদ ফয়সল, ফয়সল রাজা চৌধুরী, হাকিম উদ্দিন, এডভোকেট আলাউদ্দিন, সুজনের সহসম্পাদক মিজানুর রহমান,পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সহ সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক রোটারিয়ান আবুল হুসেন, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আকবর হোসেন মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর আলম, প্রভাষক মাসুদ করিম, আশিক চৌধুরী ,সুরঞ্জিত তালুকদার, দেবাশীষ দাশ গুপ্ত দেব, ইয়াকুব আলী মিলন, সুনামগঞ্জ ছাত্রকল্যাণ পরিষদের সহসভাপতি আলী আহসান হাবিব প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, বজ্রপাত হাওরে এক নতুন আতংক। বজ্রপাতে মৃত্যু এর আগেও হয়েছে। কিন্তু তা এত বেশি ছিল না। গত এক সপ্তাহে শুধু সুনামগঞ্জেই বজ্রপাতে মারা গেছেন অন্তত ১৫ জন কৃষক। মৃত্যুর এই হারই বলে দিচ্ছে এর তীব্রতা কতটুকু। তাই এ নিয়ে বিস্তর গবেষণা দরকার। গবেষণা করে এর কারণ ও প্রতিকার খুঁজে বের করতে হবে। একই সাথে বক্তারা বজ্রপাতে নিহত ও আহতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। বক্তারা হাওর এলাকার লোকজনকে বজ্রপাতের সময় সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন।
পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা বলেন, ‘মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ও ম্যারিল্যান্ড ইউনিভার্সিটি এক যৌথ গবেষণায় দুই বছর আগেই বলেছিল মার্চ থেকে মে মাসে সারাবিশ্বে সবচেয়ে বেশি বজ্রপাত হয় বাংলাদেশের হাওর অঞ্চলে। বজ্রপাতে মৃত্যু কমাতে তারা হাওরে ১০ লক্ষ তাল গাছ লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিল। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগকেও উৎসাহিত করতে হবে। বজ্রপাতে যারা মারা যাচ্ছে তারা সমাজে পুঁজিপতি নন। তারা দরিদ্র কৃষক। তারা প্রায়ই মাঠে কাজ করতে গিয়ে বৃষ্টিতে ভেজেন। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে কাছে কোন বড় গাছ না থাকায় কৃষকের উপরে পড়ে। তাদের মৃত্যু হয়। গতবছরও বজ্রপাতে হাওরের বেশ কয়জন মারা যান। তখন এ নিয়ে অনেক আলোচনা হল। এরপর আমরা ভুলে গেলাম। এবছর আবার যখন হাওরে বজ্রপাতে মারা গেলেন দুর্ভাগা ক’জন আবারো আমরা বলাবলি করছি। ক’দিন পর হয়ত আবার ভুলে যাব। এই মৃত্যুর মিছিল থামাতে আমাদের কি কিছুই করার নেই? অবশ্যই আছে। এখনই উদ্যোগ নিতে হবে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
OFFICE : SHUVECHCHA-191
MIAH FAZIL CHIST R/A
AMBAKHANA WEST
SYLHET-3100
(Beside Miah Fazil Chist Jame Masjid & opposite to Rainbow Guest House).
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D