৩০শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৮
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ‘গ্লোবাল সামিট অব উইমেন’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে নারী শিক্ষার প্রসার এবং নারী উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পদকে ভূষিত করেছে।
শুক্রবার বিকালে সিডনির আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) এক অনুষ্ঠানে ভিয়েতনামের ভাইস প্রেসিডেন্ট থাই নগক থিন এবং কসোভোর সাবেক প্রেসিডেন্ট এতিফেত জাহজাগার সঙ্গে গ্লোবাল উইমেনস লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ গ্রহণ করেছেন।
এর আগে রোহিঙ্গা সমস্যার সমস্যার সমাধানে মায়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী জুলি বিশপ তার হোটেল কক্ষে এক সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী মায়ানমার সরকারের প্রতি চাপ অব্যাহত রাখার এবং বিপন্ন রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য সহযোগিতার হস্ত প্রসারিত করার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষরির হয়েছে। যদিও তারা (মায়ানমার) এটাকে অস্বীকার করছে না কিন্তু তারা চুক্তির বাস্তবায়নও করছে না।
অস্ট্রেলীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী প্রায় ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদানে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন। অস্ট্রেলিয়া এ বিষয়টিতে সর্বান্তকরনেই বাংলাদেশের পাশে থাকেছে, বলেন তিনি।
বৈঠকে জুলি বিশপ শেখ হাসিনাকে নারী মুক্তি এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্ব নারীদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক এবং সাহসী নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
দেশের রাজনীতিতে এবং জাতীয় সংসদে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং সেই সাথে সাথে প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী এ সময় তার বিভিন্ন সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. সুফিউর রহমান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার ৭টা ৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী থাই এয়ারওয়েজের একটি বিমান সিডনির কিংসফোর্ড স্মিথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মুহাম্মদ সুফিউর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান। বিমানবন্দর থেকে একটি গাড়িবহরে করে ইন্টারকন্টিনেন্টাল সিডনি হোটেলে পৌঁছান। সফরকালে সেখানেই তিনি অবস্থান করবেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী সিডনি যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে প্রায় আড়াই ঘণ্টা যাত্রাবিরতি করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ২৯ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়া ত্যাগ করে পরের দিন দেশে ফিরে আসার কথা রয়েছে।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D