মাহিদ হত্যার অংশ নিয়েছিল ‘চারজন’: ছিনতাইকারী আতিকের স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ১১:৪০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৮, ২০১৮

মাহিদ হত্যার অংশ নিয়েছিল ‘চারজন’: ছিনতাইকারী আতিকের স্বীকারোক্তি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের মাস্টার্সের ফলপ্রার্থী মাহিদ আল সালাম হত্যায় ‘চারজন’ অংশ নিয়েছিল বলে জানিয়েছে ছিনতাইকারী মির্জা আতিক। সে এও জানায়, ‘ক্বিনব্রীজ থেকে নামার পর দুই মোটরসাইকেলে করে তারা চারজন মাহিদকে ঘিরে ফেলে। এসময় একজন তার উরুতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। বাকি তিনজন তার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়।’

বুধবার বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-১ মামুনুর রশীদ সিদ্দিকীর আদালতে ১৬৪ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে সে এসব কথা বলেছে। স্বীকারোক্তিতে সে মাহিদকে হত্যার দায় স্বীকারও করেছে।

মঙ্গলবার রাতে দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাহিদ হত্যা মামলার আসামী হিসাবে মির্জা আতিক ও তায়েফ মো. রিপন নামের দুই পেশাদার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর মধ্যে মির্জা আতিক স্বীকারোক্তি দিতে রাজি হলে বুধবার তাকে আদালতে আনা হয়।

তার স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী বলেন, ‘আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে মির্জা আতিক। ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই তারা ছুরিকাঘাত করে বলে জানিয়েছেন। দুটি মোটরসাইকেলে করে তারা চারজন ছিনতাইয়ে অংশ নেয় বলেও আদালতকে জানিয়েছে সে।’

তিনি বলেন, এই মামলায় তায়েফ মো. রিপন নামের আরেকজনকে আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’

রোববার দিবাগত রাত ১টায় দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে ছুরিকাহত হন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অর্থনীতি মাস্টার্সের ফলপ্রার্থী মাহিদ আল সালাম। সাথে সাথে তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে রাত দেড়টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মাহিদ আল হাসান একটি চাকুরির ইন্টারভিউ দেয়ার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তিনি বেসরকারি মোবাইল অপারেটর বাংলা লিংকে চাকুরি করতেন। পাশাপাশি শাবি’র আবৃত্তি সংগঠন মাভৈ’র সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

এ ঘটনায় নিহত মাহিদের চাচা ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল বাদী হয়ে ৪ জনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার অন্য দুজনকেও গ্রেপ্তারের চেষ্ঠা চলছে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ফজল। তবে তদন্তের স্বার্থে তিনি বাকি আসামীদের নাম প্রকাশ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট