৬ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৩০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৬, ২০১৮
আ.ম.ন জামান চৌধুরী ।। জাতি সংঘের ভিতরের অবস্থা হচ্ছে আমাদের ডাক ঘর এর মতো । কোন কাজ কর্ম নাই সারাদিন চেয়ারে বসে ঝিমায় । পুরুষ কর্মীরা বেশিরভাগ সময় লুডু খেলে সময় কাটায় মেয়েরা এক্কাদোক্কা খেলে । বাইরের অবস্থা আমাদের পাসপোর্ট অফিসের মতো দালালরা গিজগিজ করছে । তৃতীয় বিশ্বের স্বৈরশাসকদের সঙ্গে দালালদের দ্বারা যোগাযোগ স্থাপন করে বড় অংকের টাকা নিয়ে একে সেরা প্রধানমন্ত্রী ওকে সেরা প্রেসিডেন্ট নানা রকম স্বীকৃতি দেয়াই যেন অপদার্থ জাতিসংঘের কাজ । সারা দুনিয়ায় যুদ্ধ চলছে লাখ লাখ মানুষ মরছে সেখানে কোন ভুমিকা নেই। তারা আছে স্বীকৃতির সার্টিফিকেট বিতরণে । তাদের সার্টিফিকেট কারা পাচ্ছে? যারা দেশ জনগণের বিপক্ষে জনবিচ্ছিন্ন জুলুম নির্যাতনকারী গণতন্ত্র হত্যাকারী দুর্নীতিবাজ স্বৈরশাসকরা । জাতিসংঘ যেন স্বৈরাচারীদের পৃষ্টপোষক সংস্থা । মায়ানমার থেকে ফিলিস্তিন সিরিয়া ইয়ামেন থেকে লিবিয়া আফগানিস্তান ইরাকে প্রতিদিন শত শত মানুষ হত্যা করা হচ্ছে এত গুলো দেশের একটি দেশেও জাতিসংঘের জোরালো কোন ভুমিকা দেখা যায়নি । জাতিসংঘের কাজ কি? জাতিসংঘ এক দালাল সংঘ মাত্র ব্রিটেন আমেরিকার দালালী করে তাদের জন্য সুবিধা আদায় করে দেয় । এরা আবার নানা দেশের খেতাব পাইয়ে দেওয়ার ঠিকাদারি ও করে যেমন বছরের সেরা ব্যক্তিত্ব -সেরা একশজনের তালিকায় নাম – বছরের দশজন সেরা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব – ব্রিটেনের নাইটহুড , ফাও ম্যাগাজিন ভারতের পদ্মশ্রী আনন্দবাজার পুরষ্কার ইত্যাদি । ইদানীং নতুন কয়েকটি দেশ ডক্টরেট বিক্রি করতে স্কুল খুলে বসেছে যেমন চীন দক্ষিন কোরিয়া রাশিয়া আপনি পান সুপারীর ওপর একটা রচনা লিখে দিলে ডক্টরেট পেয়ে যাবেন সঙ্গে ডলারের খামটা একটু ভারী করে দিলেই হলো । ফিরে আসি সার্টিফিকেট আর স্বীকৃতি প্রসঙ্গে তৃতীয় বিশ্বের এমন দেশ আছে যেখানে গনতন্ত্রের লেশমাত্র নেই সেইসব দেশকে জাতিসংঘ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সার্টিফিকেট দিয়ে দিচ্ছে । এমন নেতা আছে যার জুলুম নির্যাতন গুম খুনের ভয়ে মানুষ কেউ কাউকে জোরে কুশল বিনিময় পর্যন্ত করেনা সেই নেতাদের এত স্বীকৃতি এত সনদ এত ডক্টরেট দিয়েছে যে নেতাদের চুলের পরিমাণের চেয়েও সার্টিফিকেট বেশি ।আমাদের কথা বলি দেশে হাজার -হাজার কৃষক ব্যাংকের পাঁচ ছয় হাজার টাকার ঋণের সার্টিফিকেট মামলায় ঘর বাড়ী ছাড়া যে দেশের মানুষ একবেলা পেট ভরে খাওয়ার জন্য পদপৃষ্ট হয়ে মরে। যে দেশে দশ টাকা কেজি চাউল কেনার জন্য উত্তপ্ত রোদে ঝড় বৃষ্টিতে সরকারী চাকুরীজীবী মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তরা এক কাতারে দাঁড়ায় সেদেশের উন্নয়নের সার্টিফিকেট উন্নয়নশীলতার সার্টিফিকেট পাওয়া চাট্টি খানি কথা নয় । আহা সেই সনদটি যদি একটিবার ছুঁয়ে দেখতে পারতাম আহা দেখার আগ্রহ যে কারো মনে জাগতে পারে। যে দেশে ভিখেরীর হাঁকডাকে সকালের ঘুম ভাঙ্গে হোটেল রেস্তোরায় মসজিদের সম্মুখে মাজারে কোর্ট কাচারি রাস্তায় ভিখেরীর লাইন। পেটের জ্বালায় স্কুলে যাবার বয়সে হোটেলে দোকানে ইট ভাটায় নারী ও শিশু শ্রমিকেরা সস্তায় শ্রমদান করে ক্ষুধা নিবারণ করে সে দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে দেয়ার জন্য অর্বাচীন জাতিসংঘকে দাঁতখেলিয়ে বলতেই হয় ধন্যবাদ হে প্রগাঢ় হিতৈষী । সার্টিফিকেট যাদের প্রয়োজন তারা তা সোনার ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখুক সযতনে । আমরা সাধারণ মানুষদের মানুষ বলে গণ্য করেনা সেবাদান কারী সংস্থা গুলি। সরকারী সেবা সংস্থা গুলোতে থানা পুলিশ হাসপাতাল ব্যাংক বীমা মোদ্দা কথা সরকারী অফিস আদালতে কর্মকর্তাদের আচরণে মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা মানুষ কিনা। মানুষ হলে আমাদের শ্রমে ঘামে আমাদের ট্যাক্সের পয়সায় যাদের বেতন ভাতা হয় । আমাদের সেবা করার জন্য যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে আমাদের সঙ্গে তাদের আচরণ এরুপ হওয়ার তো কথা নয় । প্রতিদিন খবরের কাগজে নিউজ হচ্ছে ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর মৃত্যু বা ইন্টার্র্নিদের হাতে রোগীর গার্জিয়ানকে পিটুনি লাশ আটকে দিয়ে গার্জিয়ানকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়া । ইন্টার্নিদের বিরুদ্ধে কিছু বললেই অনির্দিষ্ট কালের ধর্মঘট আজ সর্বত্রই আমরা যেমন সাধারণ নাগরিক জিম্মি অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় সরকার ও জিম্মি । পুলিশের প্রহারে পুলিশ হেফাজতে আসামীর মৃত্যু । দীর্ঘ লাইন ব্যাংক কর্মচারী পান চিবিয়ে -চিবিয়ে বৌয়ের সঙ্গে মোবাইল নিয়ে রসালাপ এই রসালাপে থাকতেই অফিস টাইম শেষ কাল আসেন গেটলক । রোগীর হাতে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ঢুকিয়ে নার্স প্রমালাপে মত্ত রোগীর রক্ত ঝরছে । বিমানের টিকেটের জন্য সারাদিন লাইনে দাঁড়িয়ে জানিয়ে দিলো টিকেট নাই অবশেষে জানা গেল বিমান খালি গেছে । বছর শেষে শুনবেন বিমানের এত হাজার কোটি টাকা লস। এ গুলোর কি কোন প্রতিকার নেই ? একটি সংস্থা তার জন্মের পর থেকে লস দিয়ে আসছে এটাকে বন্ধ করা হচ্ছে না লস থেকে লাভে ও ফেরানো যাচ্ছেনা এটা যেনো ঈশ্বর প্রদত্ত । আসলেই এ গুলো নোংরা রাজনীতির ফসল । নিশ্চুপ নিয়তি বলেই মেনে নিয়েছি নিতেই হবে । চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া কিইবা করার আছে তারা যে সনদ স্বীকৃতি প্রাপ্ত । আমাদের মুখ খোলার খুব বেশি প্রয়োজন ও নেই যদি একটু সেবা -মৃত্যুর আগে একটু চিকিৎসা দু’বেলা দু’মুটো সস্তায় মোটা চালের ভাত। যোগ্যতায় একটা সরকারী চাকরী মোট কথা মৌলিক অধিকারর গুলো পেয়ে গেলেই সবুর -আলহামদুলিল্লাহ দেশ কে কি ভাবে চালাল নির্বাচন হলো কি হলোনা। এক দলীয় হলো না বহুদলীয় হলো, বিনা ভোটে ১৫৩ জন হলো কি তিন শত জন হলো আমাদের এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। আমরা জনগণ সুবোধ বালক-বালিকা। আন্দোলনেও নাই নির্বাচনেও নাই, এবার আপনারা যখন নির্বাচন নির্বান নিয়ে চুল ছেড়া -ছেড়ি করবেন ক্ষমতায় থাকার জন্য যাবার জন্য কামড়া -কামড়ি করবেন আমরা হবো দর্শক দেখব -হাসব -হাত তালি দেব কারণ আমরা চিরকাল দর্শক ছিলাম আজও দর্শকই রয়ে গেছি । আপনাদের ভয় নেই দেশ যে ভাবে ইচ্ছে সেভাবেই চালিয়ে যান কেউ কিছু বলবে না ।
EDITOR & PUBLISHER :
DR. ARIF AHMED MOMTAZ RIFA
MOBILE : 01715110022
PHONE : 0821 716229
Office : Central Market (1st floor),
Bandar Bazar (Court Point),
Sylhet – 3100, Bangladesh.
E-mail : sylhetsangbad24@gmail.com
Hello : 01710-809595
Design and developed by M-W-D