সিলেটে ডাকাতি হওয়া ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৫

সিলেটে ডাকাতি হওয়া ২০ লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৩

Manual8 Ad Code

সিলেটের মোগলাবাজার থানা এলাকায় সংঘটিত ডাকাতির ঘটনার মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ২০ লাখ টাকার লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় সংঘবদ্ধ ডাকাতদলের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সিলেট মহানগরীর পৃথক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাকেল আহমদ (৩৩), পিতা: মৃত নুর মিয়া, ঠিকানা: পশ্চিমভাগ আবাসিক এলাকা, ওয়ার্ড ৪১। আক্তার হোসেন (৩৪), পিতা: মৃত আশ্রাব আলী, ঠিকানা: পূর্ব শ্রীরামপুর, ওয়ার্ড ৪২ এবং রিহাদ আহমেদ (৩৭), পিতা: মৃত আ. মজিদ ওরফে ভলন মিয়া, ঠিকানা: সুলতানপুর, ওয়ার্ড ৪২।

পুলিশ জানায়, রোববার (৩০ নভেম্বর) ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে লালমাটিয়া রয়েল সিটি আবাসিক এলাকার পাশে সিলেট–ফেঞ্চুগঞ্জ রোডে স্টেডফাস্ট কুরিয়ার সার্ভিস লিমিটেডের একটি কাভার্ড ভ্যানকে একটি সাদা নোহা গাড়ি ব্যারিকেড দেয়। এরপর নোহা ও আরেকটি সাদা প্রাইভেট কারে থাকা ৬–৭ জন সশস্ত্র ডাকাত চালক ও হেলপারকে মারধর করে এবং হত্যার ভয় দেখিয়ে কনটেইনার খুলে প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়। এ সময় দুটি মোবাইল ফোনও ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা।

ঘটনার পর মোগলাবাজার থানায় মামলা আইন অনুযায়ী মামলা রুজু হয়।

Manual7 Ad Code

মামলার পর সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতভর অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রথমে পশ্চিমভাগ এলাকা থেকে সাকেল আহমদকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাত পৌনে ৪টার দিকে পূর্ব শ্রীরামপুর থেকে আক্তার হোসেন এবং পরে দু’জনের স্বীকারোক্তিতে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সুলতানপুর এলাকা থেকে রিহাদ আহমেদকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তিতে মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে রিহাদের বাড়ির বাউন্ডারির ভেতরে কচুর ঝোপে লুকিয়ে রাখা ৩টি সাদা প্লাস্টিকের বস্তা, ২টি কালো পলিথিনের বস্তা এবং ২টি খাকি রঙের কার্টুনে থাকা লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।

Manual5 Ad Code

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি মিডিয়া মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,“গ্রেপ্তারকৃতরা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা সিলেট নগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ডাকাতি করে আসছিল। গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”

Manual1 Ad Code


 

Manual4 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual6 Ad Code