মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় কমছে ৭৫৫ কোটি টাকা

প্রকাশিত: ৫:৫৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় কমছে ৭৫৫ কোটি টাকা

Manual2 Ad Code

দীর্ঘায়িত হচ্ছে মেট্রোরেলের কমলাপুর যাওয়া। ৩ বছর বাড়ছে এমআরটি (ম্যাস র‍্যাপিড ট্রানজিট) লাইন-৬ প্রকল্পের মেয়াদ। তবে ব্যয় কমছে প্রায় ৭৫৫ কোটি টাকা। এমন ১১টি সংশোধনের প্রস্তাব নিয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি- একনেক সভায় উঠেছে মেট্রোরেল- ৬ প্রকল্প। এটি ৩য় সংশোধনী।

সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে একনেক সভা শুরু হয়।

সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী, মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬-এর বিজয় সরণি, ফার্মগেট, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মতিঝিল স্টেশনের প্রবেশ ও প্রস্থান কাঠামোর জন্য অতিরিক্ত ৩ দশমিক ৫৬ হেক্টর জমি আর প্রয়োজন হয়নি। এতে ১ হাজার ১২১ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। চারটি স্টেশন প্লাজা নির্মাণ প্রকল্প প্রস্তাব থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এ বাবদ ব্যয় সাশ্রয় হচ্ছে ১৬৫ কোটি টাকা। উত্তরা উত্তর, উত্তরা মধ্য, আগারগাঁও ও মতিঝিল স্টেশনে এই প্লাজাগুলো নির্মাণের কথা ছিল। এছাড়া মূল লাইন, সিভিল ও স্টেশন নির্মাণে ১১৬ কোটি টাকা, ইলেকট্রিক ও মেকানিক্যাল (ইঅ্যান্ডএম) রেলওয়ে ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ও পুনর্বাসন পরামর্শ সেবায় প্রায় ৩ কোটি টাকা সাশ্রয় হচ্ছে।

Manual2 Ad Code

ব্যয় কমানোর পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে ডিএমটিসিএল। ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে এতে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। মূলত, মতিঝিল-কমলাপুর অংশে ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটারের সম্প্রসারণের কাজ শেষ করতে এ সময় বাড়ানোর প্রয়োজন হচ্ছে। এমআরটি লাইন-৬ দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প। প্রকল্পের ২০ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি ইতোমধ্যে চালু রয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে উদ্বোধন করা হয়, তখন এটি উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলাচল করত। পরে ২০২৩ সালের শেষে মতিঝিল পর্যন্ত সব স্টেশন যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। এবার অনুমোদন পেলে এটি হবে প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনী। এতে প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩২ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা।

Manual2 Ad Code

এ ছাড়াও পরিকল্পনা কমিশন জানায়, বেতন-ভাতা, পরামর্শক ব্যয় ও স্টেশনারি, সিল, সম্মানি ও কম্পিউটার বাবদ খরচ বেড়েছে। পাশাপাশি, বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে খরচ বাড়ছে ২৭০ কোটি টাকা।


সূত্র : যুগান্তর

Manual7 Ad Code


 

Manual2 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code