কুয়েতে গিয়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করে সর্বস্ব হারালেন রুমা

প্রকাশিত: ১০:৩২ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৫

কুয়েতে গিয়ে স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিককে বিয়ে করে সর্বস্ব হারালেন রুমা

Manual2 Ad Code

ময়মনসিংহের নান্দাইলে দুই সন্তান রেখে কুয়েত পাড়ি দেন রুমা আক্তার (৩৬) নামের এক নারী এবং স্বদেশী যুবকের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে প্রথম স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কিন্তু দ্বিতীয় স্বামীর পরিবারের স্বীকৃতি না পেয়ে সর্বস্ব হারানোর পথে তিনি।

Manual7 Ad Code

এমন গ্যাড়াকল থেকে রক্ষা পেতে অবশেষে দ্বিতীয় স্বামীকে কুয়েতে রেখেই স্বীকৃতির দাবিতে গত শনিবার (২৯ নভেম্বর) উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের দক্ষিণ কয়রাটি গ্রামে এসে অবস্থান নিয়েছেন। খবর পেয়ে এলাকার পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়।

রুমা আক্তার জানান, তার বাড়ি নরসিংদী সদরের চিনিসপুর ইউনিয়নের দাসপাড়া ঘোড়াদিয়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে। এলাকায় তিনি প্রথমবার বিয়ে করে দুই সন্তানের মা হন। এর মধ্যে গত প্রায় দুই বছর আগে তিনি কুয়েতে যান। সেখানে একটি হাসপাতালে সেবিকা হিসাবে কাজ করেন। এ অবস্থায় ওইখানে পরিচয় হয় নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মো. হাবিবুর রহমানের ছেলে মো. নুর নবীর (৩০) সঙ্গে। তাকে বিয়ে করার জন্য দেশে স্বামীকে তালাক দেন। এরপর গত প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর ভালোভাবেই চলছিলেন। পরে স্বামীর বাড়িতে ঘটনা জানাজানি হলে তাদের মেনে নিতে অস্বীকার করে দ্বিতীয় স্বামীর পরিবার। এ খবর পেয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে একে অপরকে ছেড়ে ভিন্ন জায়গায় বসবাস করা অবস্থাতেই স্ত্রী রুমা গত ২২ নভেম্বর দেশে এসে গত ২৭ নভেম্বর মাকে সঙ্গে নিয়ে নান্দাইলের দক্ষিণ খয়রাটি গ্রামে এসে স্বামীর বাড়ির খোঁজ করে সন্ধান পান। ওই সময় তিনি স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে গত শুক্রবার স্বামীর বাড়িতে গেলে সেখানে স্বামীর পরিবার তাদের তাড়িয়ে দেয়। পরে এলাকার লোকজনের সহায়তায় শনিবার ফের তিনি স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে অবস্থান নেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, অসহায় ওই নারী বিয়ের সকল কাগজপত্র দেখালে তিনি সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমানের (নারীর শ্বশুর) বাড়িতে নিয়ে যান। কিন্তু তখন বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।

Manual7 Ad Code

এ ব্যাপারে ওই নারীর শ্বশুর সাবেক মেম্বার হাবিবুর রহমান জানান, তার ছেলে যদি বিয়ে করে থাকে তাহলে এটা একান্তই তার নিজস্ব ব্যাপার। এখন তো ছেলে বাড়িতে নেই। তাছাড়া ছেলের আলাদা কোনো কিছু নেই। এ অবস্থায় ওই নারীর দাবি অযৌক্তিক।

Manual3 Ad Code

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল থানার সহ-উপপরিদর্শক ঝুটন চন্দ্র সরকার জানান, ওই নারীকে পরিবারসহ থানায় আসার জন্য বলা হয়েছে। আসলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।


 

Manual5 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual4 Ad Code