বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৫

বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের দাবিতে শ্রীমঙ্গলে চা শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও মানববন্ধন

Manual2 Ad Code

দীর্ঘ ১৭ মাসের বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের দাবিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তিন চা-বাগানের শ্রমিকরা কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সাতগাঁও চা-বাগানের দুর্গা মন্দির গেইট সংলগ্ন সড়কে দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

Manual4 Ad Code

শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও ইউনিয়নের সাতগাঁও, মাকড়িছড়া ও ইছামতী চা-বাগানের শতাধিক শ্রমিক এতে অংশ নেন।

কর্মসূচিতে সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাজল কালিন্দী, সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী, মাকড়িছড়া পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি কাশী নারায়ণ গড়, সাধারণ সম্পাদক বিমল সাঁওতাল, ইছামতী পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি সদস্য স্বাধীন চাষা, পঞ্চায়েত সদস্য মন্টু কুর্মী, ইউপি সদস্য ঈশ্বর কালিন্দী ও নারী ইউপি সদস্য শান্তনা বাড়াইকসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Manual7 Ad Code

শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে নিয়মিতভাবে তাদের প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা ভবিষ্যৎ তহবিলে জমা দেওয়া হচ্ছে না। এ নিয়ে একাধিকবার উপজেলা উপ-পরিচালক (ডিডিএল) কার্যালয়ে আলোচনা হলেও মালিকপক্ষ কেবল আশ্বাস দিয়েই সময়ক্ষেপণ করছে।

Manual2 Ad Code

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া এক নারী শ্রমিক বলেন, ‘পাতার ঘ্রাণ, ঘাম আর শ্রমে চা-শিল্প টিকে আছে। আমরা মানুষ, আমাদেরও মর্যাদা আছে। ন্যায্য পাওনা আমরা কেন পাব না? এই লড়াই শুধু টাকার নয়, বেঁচে থাকার অধিকার।’

সাতগাঁও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কৈরী বলেন, ‘১৭ মাস ধরে প্রভিডেন্ট ফান্ড জমা দেওয়া হয়নি। এর আগেও ৯ মাসের বকেয়া পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। শ্রমিকদের সীমিত আয়ের এই তহবিলই তাদের একমাত্র সঞ্চয়- তাই দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি।’

এ বিষয়ে সাতগাঁও চা-বাগানের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ধাপে ধাপে প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে টাকা পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি, আগামী জানুয়ারির মধ্যে সব বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হবে।’

Manual6 Ad Code

বাংলাদেশ চা-শ্রমিক ইউনিয়নের বালিশিরা ভ্যালি সভাপতি বিজয় হাজরা বলেন, ‘৯ মাসের বকেয়া সময় তিন মাসের মধ্যে পরিশোধের লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যবস্থাপক। কিন্তু এখন ১৭ মাস পেরিয়ে গেছে, তবুও বকেয়া রয়ে গেছে। টালবাহানা চলতে থাকলে শ্রমিকরা আরও কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।’

চা-শিল্পের প্রাণ এই শ্রমিকদের ঘাম-রক্তে টিকে থাকা শিল্পের স্থায়িত্ব বজায় রাখতে ন্যায্য অধিকার ও প্রভিডেন্ট ফান্ড দ্রুত পরিশোধের দাবি এখন আরও জোরালো হয়ে উঠেছে।


 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code