ছাতকে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: ২:৩২ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৭, ২০২৫

ছাতকে স্বামী হত্যা মামলায় স্ত্রী গ্রেপ্তার

Manual2 Ad Code

সুনামগঞ্জের ছাতকে বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। পুলিশ ও র‌্যাবের যৌথ অভিযানে নিহতের স্ত্রী রানু বেগম (৪২) কে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

Manual7 Ad Code

শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে সিলেটের র‌্যাব ও পুলিশের সমন্বিত অভিযানে ছাতক উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের গহরপুর গ্রামে মৃত লুৎফুর রহমানের বাড়ি থেকে রানু বেগমকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, মামলার মূল অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর থেকেই রানু বেগম আত্মগোপনে চলে যান। গত এক সপ্তাহ ধরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তার গতিবিধি নজরদারিতে রাখেন। অবশেষে অবস্থান শনাক্তের পর প্রায় শতাধিক পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যের অংশগ্রহণে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারের ভয়ে রানু বেগম নিজ বাড়ির দরজায় তালা ঝুলিয়ে লুকিয়ে ছিলেন। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী তল্লাশির পর পুলিশ তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বামীর হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে।

শুক্রবার বিকেলে রানু বেগমকে স্বামী হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।

Manual4 Ad Code

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রঞ্জন কুমার ঘোষ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে রানু বেগমের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে।” এ ঘটনায় পুলিশ তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে।

এর আগে গত ২৭ অক্টোবর সুনামগঞ্জ কোর্ট প্রাঙ্গণ এলাকা থেকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে মূল অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার স্বীকারোক্তির পর মামলার তদন্তে নতুন অগ্রগতি পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

Manual5 Ad Code

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, এই হত্যাকাণ্ডে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শাহাব উদ্দিন সাহেলসহ তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন সহযোগীর নাম উঠে এসেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন ইমরান আহমেদ, আব্দুল আমিন, ওসমান, ইমন, ইজাজুরসহ আরও সাত-আটজন স্থানীয় ব্যক্তি। এছাড়া নিহত জিয়াউর রহমানের ছেলে সালমান আহমেদের সম্পৃক্ততারও কিছু প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

ছাতক থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান বলেন, “নিহতের স্ত্রী ও মূল অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর মামলার তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। খুব শিগগিরই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের কারণ ও সংশ্লিষ্টদের মুখোশ উন্মোচিত হবে।”


 

Manual5 Ad Code

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code