শাবি ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ফুচকার দোকান, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ১০:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৯, ২০২৫

শাবি ক্যাম্পাসে যত্রতত্র ফুচকার দোকান, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে যত্রতত্র বসানো হয়েছে ফুচকার টং দোকান। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রান্তেই এখন দেখা যায় একাধিক ফুচকার স্টল। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসকে ‘ফুচকা হাট’ হিসেবেও ব্যঙ্গ করছেন।

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যায়ের শহীদ মিনার, একাডেমিক বিল্ডিং বি ও ফোড কোর্টে রয়েছে বেশ কিছু ফুচকা ও চটপটির টং। ক্যাম্পাসের এসব গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় অতিরিক্ত ফুচকার টং গড়ে ওঠায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন শিক্ষার্থীরা। অনেকে আবার স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও লেখালেখি করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শেখ মোহাম্মদ আশিক নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, শাবিপ্রবি ক্যাম্পাস কী ফুচকার জন্য স্পেশাল কোন জোন নাকি?
যেখানে শিক্ষার্থীদের বসা বা হালকা নাস্তার জন্য শুধু ই বিল্ডিং এর টং ছাড়া আর কোনো টং রাখা হয়নি বললেই চলে, নামমাত্র ফুডকোর্ট বসানো হয়েছে ক্যাম্পাসে, সেখানে এমন যত্রতত্র ফুচকার দোকান কেন?

তিনি লিখেন- প্রশাসনকে বলবো শিক্ষার্থীদের খাবারের সমস্যা সমাধান এবং ক্যাম্পাসের সৌন্দর্যবর্ধন করার স্বার্থে এমন যত্রতত্র ফুচকার দোকান বন্ধ করে অন্য টং দোকানের সংখ্যা বাড়াতে।

মিসবাহুর রাহমান জাহিস নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ফুচকাসহ সবগুলো টং দোকানের খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়েও কথা বলা উচিত। প্রায়শই এসব দোকানে বাসি খাবার থাকে। ফুচকার টক, আলুভর্তা এসব একবার বানিয়ে সপ্তাহ খানেক পরেও সেটা সার্ভ করে। এছাড়াও কোনো ফুচকার দোকানে কিংবা টংয়ে ন্যুনতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হয় না।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক মো: মোখলেসুর রহমান বলেন, ফুচকার টংগুলোকে রি-এরেঞ্জমেন্ট করে সাজানোর প্রক্রিয়া চলছে। নতুন কোনো ফুচকার টংয়ের বরাদ্দ দেয়া হয়নি, এখন যা আছে তা বিদ্যমান ছিল।

তিনি বলেন, ফুচকা বিক্রি বন্ধ করে অন্য খাবার বিক্রির অনুমোদন দেয়া হয়েছে বি বিল্ডিংয়ের সামনে। যা শিক্ষার্থীরা লাঞ্চে খেতে পারবে। আর বাকি যে দুটো ফুচকার দোকান সেগুলোকে এ বিল্ডিং ও ফোর্ডকোর্টের মাঝামাঝি জায়গাতে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


 

সর্বমোট পাঠক


বাংলাভাষায় পুর্নাঙ্গ ভ্রমণের ওয়েবসাইট