সিলেটে বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিচারণ

প্রকাশিত: ৬:৪৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২৫

সিলেটে বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতাকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিচারণ

বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের আমন্ত্রণে বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামের কারান্তরীণ নেতাকর্মীদের নিয়ে এক স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২৮ জুলাই) সিলেট নগরীর দরগারগেইটস্থ একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেন, যারা দেশকে এবারের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন তারা এ প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা। যারা কারাগারে গিয়েছেন, তারা এই দেশের জন্যই কারাবরণ করেছেন। আপনাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রামের কারণে আমরা স্বৈরাচার হটিয়ে আবার একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। জুলাই যোদ্ধা হিসেবে যারা স্বীকৃতি পেয়েছেন তাদের মধ্যে আপনাদের নাম থাকা ন্যাহাতি সংগত। যদি আপনাদের নাম না এসে থাকে তা হলে এই ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের জোর দাবী জানাই। এক্ষেত্রে আমাদের যা যা করণীয় আমরা তা করবে।

তিনি আরোও বলেন, আপনাদের প্রত্যেকের মনে ব্যক্তিগণ দুঃখ ও কষ্ট আছে কিন্তু যারা কষ্টের বর্ণনা করেছে তারাও এই কষ্টের স্বার্থকতা অনুভব করেছেন স্বাধীনতা প্রাপ্তির জন্য এবং সবারই সাধারণ একটি প্রত্যাশা এই দেশটা একটি স্বাভাবিক বাসযোগ্য দেশ হিসেবে দেখতে চান। সবার সম্মেলিত আত্মত্যাগের ফলে যে দেশটা আমরা পেয়েছি। এই দেশে যে বা যারা বিএনপির নাম ভাঙ্গীয়ে বিএনপির নাম কালো করার চেষ্টা করবে তারা কেউ বিএনপির পদধারী না। দল ও দেশের জন্য তাদের কোনো আত্মত্যাগ নেই। সেজন্যই তারা আমাদের ও বিএনপির নাম ব্যবহার করতে চায়। যে বা যারাই এ ধরনের অপচেষ্টা লিপ্ত থাকবে তাদের আমরা প্রতিহত করবো। এই জন্যই প্রতিহত করবো কারণ ১৮ কোটি মানুষের জিম্মা স্বইচ্ছায় আমরা আমাদের নিজেদের কাঁেদ নিয়েছি।

খন্দকার মুক্তাদির বলেন, এই দেশকে আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার লালিত বাংলাদেশে পরিণত করে ছাড়বে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে একটি সমৃদ্ধ ও প্রত্যাশিত বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো। আপনাদের আত্মত্যাগ কখনো বৃথা যেতে দেব না।

কারা নির্যাতিতনের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতির মহানগর বিএনপি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, আমরা বিএনপির রাজনীতি করি বলে, এমন কোনো ধারা নেই, যে ধারায় আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। কখনো কারাগারে বন্দি, কখনো আবার আদালত পাড়ায় ঘুরে কেটে গেছে ১৭টি বছর। কারাগারে যে দিকে তাকিয়েছি শুধু আমাদের নেতাকর্মীই চোখে পড়েছে। দিনের পর দিন আমাদেরকে আটকে রাখা হয়েছে। অশ্রুসিক্ত চোখে তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে কারাগারে পাঠিয়ে বাড়িতে হামলা ও পরিবারকে নির্যাতন করেছে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব শাকিল মোর্শেদ ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফছর খানের যৌথ পরিচালনায় স্মতিচারণ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জুবের আহমদ, সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, মহানগর মহিলা দলের সভাপতি নিগার সুলতানা ডেইজি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা আহাদ কুমকুম, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক ফাতিমা জামান রুজি, সহ দপ্তর সম্পাদক জাহারা রুবিন, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আলমগীর হোসেন, এনামুল হোসেন এনাম, মো: ইমরান হোসেন, মো: কামরান আহমেদ তালুকদার, আলী আহমদ, মো: রুহুল আমিন রুয়েল, মো: নজরুল ইসলাম, মো: শাহজাহান, মো: আব্দুর রহিম, মো: খোকন ইসলাম, সালাউদ্দিন আহমদ, শাহিন আহমদ, শাফি আহমদ, বাবুল হোসেন, শেখ আব্দুল মালিক, ফয়জুর রহমান, মকবুল আলী, জুবায়ের আহমদ, মো: সাইদুর রহমান, মো: আব্দুল আহাদ, শামীম আহমদ, মো: দেলওয়ার হোসেন, রাসেল আহমদ, মেহরাজ ভূইয়া পলাশ, মো: হৃদয় হাসান খোকন, শেখ সুমন আহমদ, গিয়াস মিয়া, সুজল, আক্তার হোসেন, আব্দুল হাফিজ, মো: মোহহিমিন আহমদ আল আমিন, সৈয়দ নোমান রশিদ, রুম্মান আহমদ, মো: বাবুল মিয়া, আলী আহমদ রেদোয়ান, আব্দুল সুফিয়ান, আল হেলাল, মো: খালেদুর রহমান, সুলতান মনসুর রিপন, রহমত উল্লাহ (রহমত মারুফ), মো: শমসের আলী, জাহিদ আহমদ প্রমুখ।-বিজ্ঞপ্তি